জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সুন্দরবনসহ সারাদেশে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) বাস্তবায়নে জার্মানির সহায়তা চেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় সদ্য প্রণীত ন্যাপ বাস্তবায়নে ২৩০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। জার্মানিসহ উন্নত বিশ্ব সহায়তা করলে এটি বাস্তবায়ন সহজ হবে।’
বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত অচিম ট্রস্টার ও বাংলাদেশ সফররত জার্মান পার্লামেন্টের সদস্যদের এক দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সভায় এ সহায়তা কামনা করা হয়।
বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সুন্দরবনসহ সারাদেশে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সার্কুলার ইকোনমি বাস্তবায়ন এবং বায়ুদূষণ রোধে পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ইটের প্রচলন করতে সরকার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
এসব ক্ষেত্রে জার্মানির সহায়তা কামনা করেন পরিবেশ মন্ত্রী। এ সময় প্রযুক্তি হস্তান্তর, সক্ষমতা বৃদ্ধি, নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোতেও জার্মানির সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।
জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রমে এবং বাংলাদেশে চলমান উন্নয়নে জার্মানির সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘পারস্পরিক আলাপ-আলোচনা ও চাহিদার ভিত্তিতে এ সহযোগিতা দেওয়া হবে।’