জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সীমিত সম্পদ দিয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার তার সীমিত সম্পদ দিয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
আমরা নিজস্ব সম্পদ থেকে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট তহবিলে ৪৮০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছি। আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত সাত বছরে জলবায়ু সংক্রান্ত ব্যয় দ্বিগুণ করেছি।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাক্ষাৎ করতে আসেন। সাক্ষাতে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মিজানুল হক চৌধুরী, যুগ্মসচিব জাকিয়া আফরোজ, উপসচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ধরিত্রী কুমার সরকার এবং পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার কামার আব্বাস খোখার উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, উন্নত এবং বৃহত্তর নির্গমনকারী দেশগুলো আমাদের সকলকে ক্রমবর্ধমান বিপদের মধ্যে ফেলে ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তাদের নির্গমন কমাতে যথেষ্ট আন্তরিক নয়।
তিনি মিশরের শারম আল-শেখ-এ আসন্ন কপ-২৭ এর সময় জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা সমাধানের জন্য উন্নত ও উন্নয়নশীল সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আহবান জানান।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী না হলেও বাংলাদেশের মতো পাকিস্তানও এর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করছে। এর জন্য দায়ী ধনী দেশগুলো। তাদের অবশ্যই দায় নিতে হবে।