জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোতে সহায়তা প্রয়োজন
জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলায় দুর্বল দরিদ্র দেশগুলোর অভিযোজন ক্ষমতা এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমান সহায়তার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু নেতাদের সঙ্গে ‘অ্যাডাপটেশন অ্যাকশন কোয়ালিশন ইভেন্ট অ্যাট দ্য ইউএন হাই লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম অন লোকালি লেড অ্যাডাপটেশন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ারি যুক্ত হয়ে তিনি এই কথা বলেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে বিশ্ব নেতাদের একযোগে কাজ করা একান্ত জরুরি।
এ ক্ষেত্রে, সবচেয়ে দুর্বল দরিদ্র দেশগুলোর অভিযোজন ক্ষমতা এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দের সংস্থান করা দরকার। জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন সম্পর্কিত বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর দীর্ঘমেয়াদি এবং পর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা অত্যাবশ্যক।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার জলবায়ু সহিষ্ণুতা অর্জন পূর্বক অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের কর্মকাণ্ড ও অগ্রগতি দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ স্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
সরকার জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনকে সমর্থন করে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা এবং পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু ঝুঁকির সম্মুখীন অগ্রসর সম্প্রদায়ের নিজস্ব কার্যকর মোকাবিলা পদ্ধতি বাস্তবায়নের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।