জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিপর্যয় আগামীর বাংলাদেশের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, ‘আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করলে ব্যক্তির উন্নয়নের পাশাপাশি দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেয়া যাবে। আমাদেরকে কেবল নাগরিক হলেই হবে না, সুনাগরিক হতে হবে।
আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এদেশের বেশিরভাগ জনগন রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তা না হলে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারতো না। সমাজবিরোধী ও দূর্নীতিবাজরা সংখ্যায় কম, তবে তারা সংঘবদ্ধ।’
গত ২৫ মে নগরীর একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে এপেক্স ক্লাব অব সিলেট এর ৫৫ তম কমিটির দায়িত্বগ্রহন ও অভিষেক অনুষ্ঠানে (চেঞ্জওভার-২০২৩) প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘নানা সংকট মোকাবেলা করেও স্বাধীনতার ৫২ বছরে বাংলাদেশের অর্জন ঈর্ষণীয়। এদেশের অভূতপূর্ণ উন্নয়ন পাশ্চাত্য দেশসমূহে গবেষণার বিষয়। অদম্য বাংলাদেশের সামনে সম্ভাবনা যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে নানা চ্যালেঞ্জ।
উন্নয়নের মূল কারিগর তরুণসমাজকে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আর পরীক্ষা নিরীক্ষা না করে একটি স্থায়ীরূপ দিতে হবে। টেকসই উন্নয়নের উপর জোর দিতে হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ার সাথে সাথে মানুষে মানুষে ব্যবধান ও বৈষম্য কমিয়ে আনতে হবে।
সামাজিক উন্নয়ন ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্থহীন। মানব নিরপত্তা নিয়ে এখনই ভাবতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত বিপর্যয় আগামীর বিশ্বে আমাদের টিকে থাকার অন্যতম চ্যালেঞ্জ।’
ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক এপেক্স ক্লাবের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সেবা, সুনাগরিকত্ব ও বন্ধুত্ব এ তিন মূলমন্ত্রকে ধারণ করে বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে যে ভূমিকা পালন করছেন তা ধরে রাখতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ের জনগনকে নিয়ে কাজ করতে হবে।
গত বছর সিলেট বিভাগে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় এপেক্স ক্লাব জনগনের পাশে থেকে যেভাবে কাজ করছে তা প্রশংসনীয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে থেকেও এপেক্স ক্লাব অব সিলেট সমাজ ও তরুণদের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার অনন্য নজির স্থাপন করেছে।’
এপেক্স ক্লাব অব সিলেটের প্রেসিডেন্ট আশিষ রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন লাইফ গভর্ণর আকতার হোসেন খান, এনএসডি সাহেদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট গভর্ণর এডভোকেট জালাল উদ্দিন, ইমিডিয়েট পাস্ট ডিস্ট্রিক্ট গভর্ণর বাবুল মিয়া,
পাস্ট ডিস্ট্রিক্ট গভর্ণর এডভোকেট মাসুম আহমেদ, পাস্ট ডিস্ট্রিক্ট গভর্ণর আহমেদ জাকারিয়া, এপেক্স ক্লাব অব শাহপরান সিটি এর পাস্ট প্রেসিডেন্ট মঈনুল ইসলাম খান, এপেক্স ক্লাব অব গ্রীনহিলস এর পাস্ট প্রেসিডেন্ট নাজমুল হুদা, পাস্ট প্রেসিডেন্ট এডভোকেট শফিকুল ইসলাম, পাস্ট প্রেসিডেন্ট এডভোকেট আব্দুল খালিক, এপেক্স ক্লাব অব সুনামগঞ্জ এর ইমিডিয়েট পাস্ট প্রেসিডেন্ট যোবায়ের বখত,
এপেক্স অব সিলেট এর পাস্ট প্রেসিডেন্ট ইমদাদুর রহমান, পাস্ট প্রেসিডেন্ট রাজিবুর রহমান, এপেক্স ক্লাব অব মৌলভীবাজারের প্রেসিডেন্ট সুবির কুমার ভট্টাচার্য, এপেক্স ক্লাব অব সিলেট এর পাস্ট প্রেসিডেন্ট তাহিদুর রহমান, এপেক্স ক্লাব অব গ্রীনহিলস এর প্রেসিডেন্ট এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হেলাল, এপেক্স ক্লাব অব সিলেট এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, প্রমূখ।