জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত
জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশদূষণ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, দুর্নীতি ও নৈতিক অবক্ষয় বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের জন্য জরুরি বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
সাগরের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও খরার প্রকোপ এ দেশের জনজীবনকে ক্রমে কঠিন করে তুলছে। বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ও ঘনত্ব বেশি। প্রতি বর্গকিলোমিটারে সহস্রাধিক মানুষের বাসই তো পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি।
মানুষের নানাবিধ অবিমৃষ্যকারিতায় পরিবেশদূষণ বাড়ছে, যা দেশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ভারসাম্য নষ্ট করছে। বায়ু, পানি ও মাটিদূষণ বাংলাদেশের বড় সমস্যা। যানবাহন, কলকারখানা ও ইটভাটার ধোঁয়া বায়ুদূষণের বিশেষ কারণ। শিল্পবর্জ্য, কৃষিবর্জ্য ও নগরবর্জ্য পানিদূষণের উৎস।
রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহারে মাটি দূষিত হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। তা ছাড়া বিশ্বের কথা বললে, সামরিক দূষণ ও যুদ্ধের প্রভাব পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। সামরিক কার্যকলাপের ফলে ভূগর্ভস্থ পানি, মাটি ও বায়ু দূষিত হচ্ছে। এ ধরনের দূষণ প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক নীতিমালা প্রণয়ন ও কার্যকর প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি।
বাংলাদেশে খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণ জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি। কঠোর আইন ও তদারকির মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করা জরুরি। সমাজে ব্যক্তিগত স্বার্থকেন্দ্রিক মনোভাব দূর করা প্রয়োজন, যাতে সমতা ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
দুর্নীতি বাংলাদেশের বড় সমস্যা। সরকারি ও বেসরকারি খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রশাসনিক সংস্কার ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। সুশিক্ষা ও সুস্বাস্থ্যের সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে একটি সুস্থ ও সচেতন জাতি গঠন সম্ভব। ধর্ম-বর্ণের পার্থক্য ভুলে সমাজে সমতা ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সাংস্কৃতিক সমন্বয় জরুরি।
বিশ্বব্যাপী জ্ঞান সরবরাহ ও উন্মুক্ত ট্যালেন্ট মুভমেন্টের মাধ্যমে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার ও উন্নত প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব।
বাংলাদেশের সমস্যা সমাধানে পরিবেশ সুরক্ষানীতি, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ম্যানেজমেন্ট বাই অবজেকটিভ ও কূটনৈতিক দক্ষতা অর্জন অপরিহার্য।
ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট, কর্মীদের দক্ষতা ও যোগ্যতা চিহ্নিত করে যথাযথভাবে ব্যবহার ও উন্নয়নের মাধ্যমে সংকট উত্তরণের পথ সুগম হয়। ম্যানেজমেন্ট বাই অবজেকটিভ কর্মীদের স্পষ্ট উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নির্ধারণ করে কর্মদক্ষতা বাড়াতে সহায়ক। কূটনৈতিক দক্ষতা প্রতিষ্ঠানের নেতাদের জন্য অপরিহার্য, বিশেষ করে মন্দার সময়ে, যাতে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষা ও উন্নয়ন সম্ভব হয়।