জলবায়ু পরিবর্তনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে
দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে।
এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে হলে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। বুধবার ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’ নামে দুটি প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
রাজধানীর লেক ক্যাসল হোটেলে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তারা বলেন, সরকারের ‘জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ গ্রহণের জন্য তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোতে মাল্টিপারপাস অ্যাক্সেসিবল রেসকিউ বোট তৈরির মাধ্যমে প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আইন, নীতিমালা এবং কর্মপরিকল্পনায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু এগুলোর কার্যকর বাস্তবায়নে আমাদের আরও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মহুয়া পালের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী পরিচালক আলবার্ট মোল্লার সঞ্চালনায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে আলবার্ট মোল্লা বলেন, ‘দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে, যা হ্রাস করতে প্রকল্প দুইটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।’
পরিবেশ অধিদফতরের উপপরিচালক দিলরুবা আক্তার বলেন, ‘প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর কার্যক্রম আরও জোরদার করার জন্যে এনজিওগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি এবং সরকারের “জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড” গ্রহণের জন্য তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।’
সিবিএম গ্লোবাল ডিজএবিলিটি ইনক্লুশন-বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুশফিকুল ওয়ারা বলেন, “প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সিবিএম-এর গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে ‘গাইবান্ধা মডেল’ এবং ‘ইনক্লুসিভ ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন হ্যান্ডস অন টুল অ্যাপ’ অন্যতম। আগামী দিনে সিবিএম প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠকদের সঙ্গে নিয়ে এ বিষয়ে আরও বিস্তর পরিসরে কাজ করবে।”