জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টেকসই উন্নয়ন অপরিহার্য
স্থানীয় সরকার বিভাগ, যুক্তরাজ্য সরকার এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ‘নগর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প’-এর অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে, যার লক্ষ্য হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে টেকসই নগর নীতি বাস্তবায়ন করা।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী ‘আরবান রেজিলেন্স ফোরাম’-এর প্রথম দিনে এ আহ্বান জানান তারা।
প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকার একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়তে এবং জলবায়ুবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান ও বাংলাদেশ ডেলটা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে এবং জাতীয় নগর নীতি চূড়ান্ত করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘স্থিতিশীল শহর ও নগর গড়তে সরকার এখন স্থির অবকাঠামো, সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, কমিউনিটিভিত্তিক অভিযোজন, বনায়ন ও ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধার এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, ‘সাশ্রয়ী আবাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গৃহহারা মোকাবিলার গুরুত্ব অপরিসীম। এই লক্ষ্য অর্জনে তৃণমূল থেকে ওপর মহল পর্যন্ত একসঙ্গে কাজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একটি শক্তিশালী জাতীয় নগর নীতি পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য এবং বাংলাদেশের জন্য একটি জলবায়ু-স্মার্ট, টেকসই নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক। ইউএনডিপি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতের জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক বাংলাদেশে দ্রুত নগরায়নের মাঝে চরম দারিদ্র্য কমানোর জন্য দেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন। যদিও তিনি উল্লেখ করেন যে শহরগুলো এখনও এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সংগ্রাম করছে।
তিনি বলেন, আরবান রেজিলেন্স ফোরাম বাংলাদেশ সরকারের এবং উন্নয়ন অংশীদারদের অন্তর্ভুক্তিমূলক জলবায়ু-স্মার্ট নগর উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে একটি মাইলফলক।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মাসুম পাটোয়ারী স্বাগত বক্তৃতা করেন।
এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আক্তার মাহমুদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
দুদিনের এই সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয়, আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের প্রধান অংশীদার, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজ ও উন্নয়ন সহযোগীরা অংশ নেবেন।