জলবায়ু ন্যায্যতার পক্ষে দৃঢ়ভাবে কাজ করতে হবে
জলবায়ু পরিবর্তন উল্লেখযোগ্যভাবে খাদ্যনিরাপত্তাকে প্রভাবিত করে এবং এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পানি অপরিহার্য। জলবায়ু রাজনীতি ভালোভাবে বোঝার মাধ্যমে আমাদের জলবায়ু ন্যায্যতার পক্ষে দৃঢ়ভাবে কাজ করতে হবে।
ওয়াটারএইডয়ের দক্ষিণ এশিয়ার অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘বেশির ভাগ সভ্যতাই নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। আমরা এখন নদীর অবনতি দেখছি। জলবায়ু পরিবর্তনের বেশির ভাগই মনুষ্যসৃষ্ট।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্য নেদারল্যান্ডসের বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এম রিযাজ হামিদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ পানিব্যবস্থাপনা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। বাংলাদেশে পানির অভাব নেই, এই প্রচলিত ধারণা থেকেও আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় বেশির ভাগ চুক্তিই হলো প্রতিক্রিয়াশীল চুক্তি, যা উজানের বা শক্তিশালী দেশগুলোর দ্বারা একতরফাভাবে করা হয়ে থাকে।
তারা সাধারণত পানি ও নদী-সংক্রান্ত বিরোধের সমাধান করতে বহুপাক্ষিক আলোচনার পরিবর্তে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করে থাকে। আমরা যদি দক্ষিণ এশীয় ভাগাভাগি চুক্তির দিকে তাকাই, আমরা দেখতে পাই যে তাদের অধিকাংশই একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, বিশ্বের অন্যান্য দেশে এমন কোনো অনুশীলন আমরা দেখতে পাই না।’
সুইডেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি এবং ডেপুটি হেড অব ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন নায়োকা মার্টিনেজ ব্যাকস্ট্রোম পানি-সম্পর্কিত আলোচনা এবং জলবায়ু-ন্যায্যতার আন্দোলনে তরুণদের অন্তর্ভুক্তির ওপর জোর দেন। তিনি টেকসই পানি ব্যবস্থাপনার জন্য যুব নেতৃত্বাধীন উদ্যোগের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।