31 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
সকাল ১০:৫৫ | ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় আর্থিক সহায়তার জন্য উন্নত বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
জলবায়ু পরিবেশগত অর্থনীতি

জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় আর্থিক সহায়তার জন্য উন্নত বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় আর্থিক সহায়তার জন্য উন্নত বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য উন্নত বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, কার্বন নিঃসরণের জন্য মূলত উন্নত দেশগুলোই দায়ী। তাই বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষায় তাদের মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় শক্তি ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ‘পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক ফর ইনাব্লিং’ ২৪তম জাতীয় রিনিউয়েবল এনার্জি সম্মেলন ও গ্রিন এক্সপো সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশে ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। এ লক্ষ্য অর্জনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য তিনি পেশাজীবী ও গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি জ্বালানি নীতি আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, পৃথিবীর গড় কার্বন নিঃসরণ ৬ দশমিক ৭৯ মেট্রিক টন। আর যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ দশমিক ৯ মেট্রিক টন, চীনে ১০ দশমিক ৯৫ মেট্রিক টন। আর আমাদের মাত্র ১ দশমিক ২৯ মেট্রিক টন। কিছু দেশ জিরো নিঃসরণে গেছে। আমাদের পলিসির পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে।

নীতিমালায় বলা হচ্ছে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প করতে হলে প্রতি মেগাওয়াটের জন্য ৩ একর জমি দেখাতে হবে, কিন্তু ১ দশমিক ৬ একরে ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।



অবশ্যই এই নীতিমালা পরিবর্তন করা দরকার। বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, এমন অসামঞ্জস্য নীতি থাকতে পারে না। আমি শক্তভাবে এর নীতিমালা পরিবর্তন চাই। আবার লিড পার্টনার নিয়েও অংসঙ্গতি রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, একসময় ট্রানজিট শব্দটি গালি ছিল, এখন সেটার পরিবর্তন এসেছে। আমরা নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনবো ভারতের ওপর দিয়ে, হাইড্রোজেনচালিত বাস আনার কথা ভাবছে বিআরটিসি। আমরা প্রথম শিল্প বিপ্লবে ১০০ বছর, দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লবে ৮০ বছর, তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে ৩০ বছর পেছনে ছিলাম। তবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে একসঙ্গে পা রেখেছি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল নবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পরিবেশকে সব ধরনের দূষণ থেকে মুক্ত রাখতে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, গ্রিন এনার্জি উৎপাদনের ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব আরও বৃদ্ধি করতে হবে। পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

উপাচার্য তরুণ সমাজকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবায়নযোগ্য শক্তি ও পরিবেশ বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালুর আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এ ব্যাপারে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহযোগিতা চান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী মো. আক্তার হোসেন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের সিইও মো. আলমগীর মোরশেদ, বাংলাদেশ সোলার রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জি. মো. নুরুল আক্তার এবং টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা এনডিসি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

গ্রিনটেক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উপদেষ্টা ও বিআইবিএমের ফ্যাকাল্টি মেম্বার খোন্দকার মোর্শেদ মিল্লাত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শক্তি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম নাসিফ শামস। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন গ্রিনটেক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লুৎফর রহমান।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত