জলবায়ু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে জন কেরির ও সাবের হোসেন চৌধুরীর বৈঠক
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ুবিষয়ক দূত জন কেরির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বর্ণিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে উভয় দেশ। সোমবার বিকালে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জন কেরির কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয় দেশের জলবায়ু দূত প্রশমন, অভিযোজন তহবিল, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং সেই সঙ্গে ক্ষতির পাশাপাশি কপসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক জলবায়ু প্ল্যাটফরমে বৃহত্তর দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
জলবায়ু ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন বাংলাদেশি দূত সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক জলবায়ু প্রতিশ্রুতির ফাঁক-ফোকর মেটাতে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে আওয়াজ তোলা অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ।’
এ ছাড়া সাবের হোসেন চৌধুরী সরকারের নেওয়া বিভিন্ন জলবায়ু উদ্যোগ প্রসঙ্গে জন কেরিকে অবহিত করেন। তিনি এসব উদ্যোগের মধ্যে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান’-এর কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এই পরিকল্পনা বাংলাদেশকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা থেকে সমৃদ্ধির দিকে সহনশীলতার পথের সূচনা করবে।
এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জন কেরি বলেন, ‘কার্বন নিঃসরণ কমাতে দেশগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া অর্থায়নের ইস্যুতে বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে তারা।’
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে জন কেরি বলেন, ‘বাংলাদেশের জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনে সহযোগী হিসেবে সাহায্য করতে ইচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্র।’
সাবের হোসেন চৌধুরী এবং জন কেরি উভয়েই কপ২৮ সফল করতে বাড়তি ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ঐকমত্য গড়ে তোলায় এবং বিশ্বব্যাপী সংহতির গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার ওয়াশিংটনে সাবের হোসেন চৌধুরী ধাপে ধাপে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে যেতে সরকারি অর্থায়ন এবং অগ্রগতি সংক্রান্ত বৈশ্বিক তদন্তবিষয়ক এক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
উরুগুয়ে, বলিভিয়া, কলম্বিয়া, জাম্বিয়া এবং উগান্ডার শীর্ষ স্থানীয় আইন প্রণেতাদের পাশাপাশি মার্কিন সিনেটর এড মার্কে এবং কানাডিয়ান সিনেট সদস্য রোজা গ্যালভেজ ওই তদন্তে অংশ নেন এবং বিশেষজ্ঞ প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য শোনেন।