জমিতে কীটনাশক প্রয়োগে মরল ৬৫টি হাঁস
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় জমিতে কীটনাশক দেওয়ার পর খাবার খেতে নেমে ৬৫টি হাঁসের মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার সকালে উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের খালিশা ধুলিয়া পাইকারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হাঁসগুলোর মালিক ওই এলাকার বাসিন্দা ক্ষুদ্র খামারি নূর ইসলাম (৪০)। আর জমিতে কীটনাশক ছিটিয়েছিলেন কৃষক বাবু আলী। নূর ইসলাম বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘বাবু আলী জমিতে স্প্রে কইরছে, এটা হামাক কয় নাই।
বিষ ছিটানোর কথা গ্রামের কোনো মানুষই জানে না। মুইও সকাল বেলা খামার থেকে হাঁসগুলো ছাড়ি দিছু।’ তিনি বলেন, ওই জমিতে নেমে হাঁসগুলো ছটফট করছিল। এরপর একে একে ৬৫টি হাঁস মারা যায়। বিষয়টি তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন।
সৈয়দপুরে পাখি ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠন সেতুবন্ধনের সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, এটি সরাসরি হত্যাকাণ্ড। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে হাঁস-মুরগি আছে।
জমির মালিকের উচিত ছিল পূর্বে ঘোষণা দেওয়া। এটি না করে তিনি অপরাধ করেছেন। তাঁকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। এ নিয়ে তাঁর সংগঠন আন্দোলনে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
কৃষক বাবু আলী বলেন, ‘আমার জমিতে হাঁস নামবে এটি আমি জানতাম না। মানুষের হাঁস-মুরগি আমার খেত নষ্ট করছে, এটি তো আমি সহ্য করব না।’ হাঁস মৃত্যুর ঘটনায় তিনি কোনো ক্ষতিপূরণ দেবেন না বলে জানান।
খাতামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন, এ বিষয়ে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন। এরপর সালিসের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।