গত ছয় দশকে দেশে গ্রীষ্মের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা বিরাজ করছে এ বছর। করোনা লকডাউনে যানবাহন ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার কমায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার তাপদাহ কমেছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকার উষ্ণতাও কমেছে নাটকীয়ভাবে। আবহাওয়া ও নগরবিদরা বলছেন, তাপমাত্রার এই স্বাভাবিক অবস্থাকে ধরে রাখতে এখনই নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে যানবাহন ও এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারে।
জনশূন্যতার শহরে শীতলতার উপস্থিতি। পিচঢালা পথে মরিচিকার দাপট নেই তাই আগের মতো। জৈষ্ঠের হাওয়ায় নাভিশ্বাস তোলা সেই উত্তাপ ছুটি নিয়েছে আপাতত। মাঝে-মধ্যেই বয়ে যাচ্ছে হিমেল পরশ। গ্রীষ্মকালকে এমন শান্তরূপে আগে কখনো পায়নি নগরজীবন।
তাপমাত্রার এই নাটকীয় পরিবর্তনের কারণ, করোনায় বদলে যাওয়া জনজীবন। বিশেষজ্ঞরা জানান, গ্রীষ্মকালে ঢাকাকে হিট ইঞ্জিনে পরিণত করে, লাখ-লাখ যানবাহন আর গাড়ি-বাড়ির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজধানীর তাপমাত্রায় এই প্রত্যাশিত পরিবর্তন কিছুটা হলেও ধরতে রাখতে হলে এখনই নড়ে-চড়ে বসতে হবে নগর ও পরিবেশ কর্তৃপক্ষকে।
আবহাওয়া অফিসের মতে, তাপমাত্রার চলমান স্থিতাবস্থা সাময়িক হলেও তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে সামগ্রিক আবহাওয়া ও জলবায়ুতে।