পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদের একটি দৃশ্যমান গহ্বরে পানির সন্ধান পাওয়া গেছে। এমন দাবি করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
নাসার তথ্যমতে জানা যায়, সাধারণত চাঁদের যে অংশে সূর্যের আলো পড়ে সেখানে এমন পানির সন্ধান পেয়েছে নাসার স্ট্র্যাটোস্ফেরিক অবজার্ভেটরি ফর ইনফ্রারেড অ্যাস্ট্রোনমি (সোফিয়া)।
নাসা জানিয়েছে, চাঁদের ক্ল্যাভিয়াস গহ্বরে পানির অণু (H2O) পাওয়া গেছে। গহ্বরটি পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান। তবে অতীতে চাঁদের ভূ-স্তরে হাইড্রোজেনের রূপান্তরিত নমুনা পাওয়া গেলেও বিজ্ঞানীরা পানি বা তার কাছাকাছি কোনো যৌগের অণু খুঁজে পাননি। সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে চাঁদের পিঠের ওই অংশে মোটামুটি ১২ আউন্স পরিমাণ পানি পাওয়া গেছে। তবে সোফিয়া চাঁদের পিঠে পানির যে পরিমাণ খুঁজে পেয়েছে তার ১০০ গুণ বেশি রয়েছে সাহারা মরুভূমিতে। তবু বাতাসহীন পরিমণ্ডলে রুক্ষ চন্দ্রস্তরের নীচে কিভাবে পানির অস্তিত্ব টিকে রয়েছে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে নতুন প্রশ্ন। আবিষ্কারটি নেচার অ্যাস্ট্রোনমি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্থান টাইমস।
পানির সন্ধান প্রসঙ্গে নাসার পরিচালক জিম ব্রাইডেনস্টাইন বলছেন, ‘এখনও আমরা জানি না এই সম্পদ আমরা কী করে ব্যবহার করবো’, তবে আণবিক জলের অস্তিত্বের স্পষ্ট এই আবিষ্কার চাঁদে ভবিষ্যৎ অভিযান ও মহাশূন্যে আরও গভীর অভিযান ও অনুসন্ধান চালানো সহজ করবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এর আগে ১৯৬৯ সালে প্রথম অভিযান সেরে চাঁদ থেকে ফেরার পরে অভিযাত্রীরা জানিয়েছিলেন, চন্দ্রপৃষ্ঠ সম্পূর্ণ শুকনো। এরপরে গত ২০ বছর ধরে চাঁদকে প্রদক্ষিণকারী ও অন্যান্য অভিযানে জানা গেছে, চাঁদের চিরছায়াচ্ছন্ন মেরু অঞ্চল তুষারাবৃত। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস, নাসার ওয়েবসাইট।