চট্টগ্রামে অবৈধভাবে চিকিৎসা বর্জ্য মজুত
চট্টগ্রামে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে চিকিৎসা বর্জ্য মজুত ও প্রক্রিয়াজাতের অভিযোগে তিন জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়।
সোমবার নগরীর বন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। পরিবেশ অধিদফতরের পরিদর্শক মুহাম্মদ আশফাকুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১৩) ও চিকিৎসা-বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার আসামিরা হলো- বন্দর থানাধীন ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডস্থ আনন্দবাজার এলাকার ভাঙ্গারী দোকানের মালিক মো. তৈয়ব, কর্মচারী মো. তারভীর ও চট্টগ্রামের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘চট্টগ্রাম সেবা সংস্থা’ এর স্বত্বাধিকারী মো. জমির উদ্দিন। পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে চিকিৎসা বর্জ্য মজুত ও প্রক্রিয়াজাতকরণের অভিযোগে বন্দর থানাধীন ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডস্থ আনন্দবাজার এলাকার ভাঙ্গারী দোকানে সোমবার পরিবেশ অধিদফতরের টিম অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে ৪৩ বস্তা চিকিৎসা বর্জ্য জব্দ করা হয়। অভিযানে ব্যবহৃত, সংক্রমিত সিরিঞ্জ, সুঁচ, ক্যানোলা, স্যালাইনের বোতল, নল, সংক্রমিত প্লাস্টিক বর্জ্য, কালো ও হলুদ রংয়ের পলিথিন জব্দ করা হয়।’
জানা গেছে, নগরীর হাসপাতালগুলো থেকে কঠিন চিকিৎসা-বর্জ্য সংগ্রহ ও ইনসিনারেটর প্লান্টে পরিবহনের কাজটি করে ‘চট্টগ্রাম সেবা সংস্থা’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।