কৃষি খাতকে শক্তিশালী করতে কৃষিবীমার নতুন তহবিল চালু
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের কৃষি খাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দুটি নতুন কৃষিবীমা তহবিল চালু করেছে বাংলাদেশ মাইক্রোইনস্যুরেন্স মার্কেট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (বিএমএমডিপি)। প্রান্তিক কৃষক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহনশীলতা বাড়াতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
উদ্যোগের আওতায় চালু হওয়া দুটি তহবিলের মধ্যে একটি হলো ক্লাইমেট মাইক্রোইনস্যুরেন্স ইনোভেশন ফান্ড-উদয়, যা জলবায়ু সচেতন মাইক্রোইনস্যুরেন্স পণ্য উদ্ভাবনের জন্য আর্থিক সহায়তা দেবে।
অন্যটি হলো ক্লাইমেট রিস্ক রেজিলিয়েন্স ফান্ড-অভয়, যা পুনঃবীমাকারীদের সক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হবে। বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের অর্থায়নে প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন করবে সুইস কন্ট্যাক্ট বাংলাদেশ।
৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে আয়োজিত ‘ইম্পেটাস ফর ইনোভেশন: ইন্ট্রোডিউসিং উদয় অ্যান্ড অভয়’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এই তহবিল চালুর ঘোষণা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বিএমএমডিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তহবিল দুটি কৃষক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জলবায়ু ঝুঁকির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার সক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য নিরসন এবং কৃষি খাতের উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত হবে।
তহবিলের জন্য আবেদন শুরু হবে ১৯ ডিসেম্বর থেকে। আবেদনের প্রক্রিয়া সহজ করতে তথ্য অধিবেশনের আয়োজন থাকবে। এতে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা এবং সম্ভাব্য সামাজিক অংশীদারদের সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কৃষি খাতে ক্ষুদ্রবীমার গুরুত্ব অনেক। মোবাইল ফোন ও স্যাটেলাইট ডেটার মতো তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে কৃষকদের প্রয়োজন অনুযায়ী সাশ্রয়ী বীমা পণ্য সরবরাহ করা যেতে পারে।
আলোচনায় কৃষকদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ক্ষুদ্রবীমার গুরুত্ব এবং এটি সহজলভ্য করার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও কৃষকদের মধ্যে দূরত্ব কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে জলবায়ু-সহনশীল বীমা মডেল তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন। এতে অংশগ্রহণকারীরা বীমা প্রকল্পগুলোর বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ পান।
উদ্যোগটি জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।