কুয়াকাটায় ডলফিন, কচ্ছপ-সহ সামুদ্রিক প্রাণীদের মৃত্যু
বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক সম্পদ জলজ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর অস্তিত্ব বিপন্ন। মৃত্যু হচ্ছে একের পর এক জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণীর। এই তালিকায় রয়েছে মূলত ডলফিন, শুশুক আর কচ্ছপ।
গত সপ্তাহে পটুয়াখালির কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে বেশ কয়েকটি ডলফিনের অর্ধগলিত দেহ। ডলফিনগুলির শরীরের অধিকাংশ চামড়া উঠে গিয়েছে, রয়েছে আঘাতের চিহ্নও। মৃত ডলফিনের মাথায় ও লেজে জালে আটকানোর চিহ্ন রয়েছে।
বুধবার রাতে পটুয়াখালির কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসা ডলফিন দেখে নতুন করে উদ্বিগ্ন সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষজ্ঞরা। কীভাবে তাদের মৃত্যু হচ্ছে, সে বিষয় সম্যক ধারণা করা যাচ্ছে না। গত বছর মোট ১০টি মৃত ডলফিন ও ১১টি কচ্ছপ কুয়াকাটার সৈকতে ভেসে এসেছিল। এর মধ্যে দুটি জীবিত কচ্ছপ উদ্ধার করে সমুদ্রে মুক্ত করা হয়েছে।
কোনওটার শরীরের আঘাত ছিল। কোনওটার শরীরের উপরিভাগের চামড়া উঠে গিয়েছিল। আবার কোনওটি অর্ধগলিত। মৃত ডলফিন ও কচ্ছপগুলি থেকে যাতে গন্ধ না ছড়ায়, সেজন্য সৈকতেই মাটি চাপা দেওয়া হয়।
এর আগে একাধিক মৃত প্রাণীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি।
তবে সমুদ্র সৈকতে একের পর এক ডলফিন ও কচ্ছপের মৃত্যুর কারণ হিসেবে।বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশকর্মীদের ধারণা, আবাসস্থলের চরম বিপত্তি। অর্থাৎ জেলেদের জালে আটকে পড়া, ট্রলিং ফিশিংয়ের কারণে কিংবা জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এসব বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী মারা যেতে পারে বলে অনুমান।