কপ২৯ সম্মেলনে বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্র নিয়ে সাইড ইভেন্ট
আজারবাইজানের বাকুতে চলমান জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন- কপ২৯’র একটি অনুষ্ঠান (সাইড ইভেন্ট) থেকে বক্তারা বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে জাস্ট ট্রানজিশনে অর্থায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে সম্মেলনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আয়োজিত ‘অ্যাকসিলারেটিং ফাইন্যান্স ফর জাস্ট ট্রানজিশন ইন বাংলাদেশ: ইনসাইট ফ্রম কপ২৯’ শীর্ষক অনুষ্ঠান থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
ওশি ফাউন্ডেশন, ইয়ুথনেট গ্লোবাল এবং ফ্রেডরিখ-ইবার্ট স্টিফটুং (এফইএস), বাংলাদেশ নামে একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠান থেকে আরও জানানো হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান’র (এনএপি) সাথে সামঞ্জস্য রেখে ২০২৩-২০৫০ সালের মধ্যে পরিবর্তনের কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রায় ১১.৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলো ৪.১ মিলিয়ন মানুষের জন্য জলবায়ু সহিষ্ণু কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রাখবে।
ওশি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুর রশিদ চৌধুরী রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর জাস্ট ট্রানজিশন বিভাগের প্রধান মোস্তফা কামাল। জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা-এফইএস এর সিনিয়র প্রোগ্রাম এডভাইজার মান্দবি কুলস্রেষ্টা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ওশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপার্সন ড. এস এম মোর্শেদ উক্ত বিষয়ে তার উপস্থাপনা তুলে ধরেন। উপস্থাপনায় তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে সবুজ রপ্তানি কর্মসূচি এবং কৌশলগত রপ্তানি শিল্পের জন্য শতভাগ লিড সার্টিফিকেশন প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, শুধু শ্রমের জাস্ট ট্রানজিশন এবং ভবিষ্যতের শিল্প ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ১১.৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এই সময়সীমার মধ্যে সমস্ত পরিকল্পিত কার্যক্রমের পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আবশ্যক।
অধিবেশনের সভাপতি আমিনুর রশীদ চৌধুরী রিপন জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের (মিটিগেশন) জন্য শোভন ও মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ব্যাপক অর্থায়নের উপর জোর দেন। এর মধ্যে রয়েছে, কর্মশক্তি উন্নয়ন ও বিকল্প জীবিকা ব্যবস্থাপনার জন্য অর্থায়ন।
তিনি শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে তহবিলের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। পাশাপাশি, ট্রানজিশন পিরিয়ডে ট্রেড ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ে সামাজিক সংলাপের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
একটি পৃথক উপস্থাপনায়, ইয়ুথনেট গ্লোবাল’র এক্সিকিউটিভ কো-অর্ডিনেটর সোহানুর রহমান জাস্ট ট্রানজিশনের জন্য যুব সম্পৃক্ততা নিয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
এ সময় বাংলাদেশ সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, ট্রেড ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন সুশীল সমাজ সংগঠনের মোট ৪০ জন প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।