কপ২৯: বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করবে জাপান
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও কার্বন ক্রেডিট নিয়ে সমঝোতা স্মারক সই করবে বাংলাদেশ ও জাপান। অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং জাপানের পরিবেশমন্ত্রী কেইচিরো আসাওর মধ্যে আজারবাইজানে কপ-২৯-এ জাপানের প্রতিনিধি কার্যালয়ে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে আলোচনায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কার্বন ক্রেডিটিং, জলবায়ু সহনশীলতা উদ্যোগসহ পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক সইয়ের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়।
বৈঠকে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, যা দেশের মোট গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের প্রায় ১০ ভাগ এর জন্য দায়ী।
শুধু ঢাকাতেই প্রতিদিন ৬ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার ৭৩ ভাগ অপরিশোধিত অবস্থায় ল্যান্ড ফিলে জমা হয়, ফলে মিথেন গ্যাস নিঃসরণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জন্য তিনি সমন্বিত পুনঃ উৎস আহরণ কেন্দ্র, ওয়েস্ট-টু-এনার্জি প্ল্যান্ট এবং স্যানিটারি ল্যান্ড ফিল স্থাপনে জাপানের সহায়তা কামনা করেন।
বৈঠকে যৌথ ক্রেডিটিং মেকানিজমের (জেসিএম) গুরুত্ব তুলে ধরা হয়, যা কম কার্বন প্রযুক্তি প্রসারের ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী উপকরণ।
২০১৩ সালে সই হওয়া চুক্তির অধীনে বাংলাদেশে ইতিমধ্যে চারটি জেসিএম প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, যার মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম ট্রান্সমিশন গ্রিড সম্প্রসারণ প্রকল্প রয়েছে। জাপান এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় এই প্রকল্পগুলো পরিচালিত হয়।
জাপানের পরিবেশমন্ত্রী কেইচিরো আসাও বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবন ও সহযোগিতার মাধ্যমে জাপান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বাংলাদেশের এনডিসি লক্ষ্য পূরণের জন্য সহযোগিতা সম্প্রসারণের আশাবাদী এবং নতুন ক্ষেত্রেও কাজ করতে আগ্রহী।’