22 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
রাত ৯:৪৫ | ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
ইনানী জেটি সাত দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার দাবি
পরিবেশ রক্ষা

ইনানী জেটি সাত দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার দাবি

ইনানী জেটি সাত দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার দাবি

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানী সৈকতে উচ্চ আদালতে ইসিএ ঘোষিত এলাকায় কোন ধরণের স্থাপনা না করার আদেশ থাকা সত্বেও ২০২০ সালে নৌবাহিনীর নৌ মহড়ার নামে সাগরের বুক চিরে নির্মিত জেটিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদী সাতটি সংগঠনের নেতারা।

আজ ৬ নভেম্বর, বুধবার, সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এই দাবি জানান। সাত পরিবেশবাদী সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), নদী পরিব্রাজক দল, কক্সিয়ান এক্সপ্রেস, ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস), সেভ দ্য এনভায়রনমেন্ট অব বাংলাদেশ (সেব) ও গ্রিন ভয়েস কক্সবাজার।

বাপা কক্সবাজার জেলা সভাপতি এইচ এম এরশাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাপার সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম নজরুল ইসলাম, বেলার কক্সবাজার নেটওয়ার্ক সদস্য ইব্রাহিম খলিল, নদী পরিব্রাজক দলের কেন্দ্রীয় সদস্য শামশুল আলম, জাফর আলম, কক্সিয়ান এক্সপ্রেস সভাপতি ইরফান উল হাসান, পরিবেশ সংগঠক নেজাম উদ্দিন প্রমুখ।

এইচ এম এরশাদ বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশ ও আইনি বিধান লঙ্ঘন করে ২০২০ সালে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত দ্বিখণ্ডিত করে ইনানী সৈকতে ওই জেটি নির্মাণ করা হয়। অস্থায়ীভাবে নির্মিত জেটিটি অপসারণের কথা থাকলেও একজন জাহাজ ব্যবসায়ী তার ব্যবসার সুবিধার্থে কৌশলে জেটিটা ভাঙতে দেয়নি ফলে তা আর অপসারণ করা হয়নি।

জেটি নির্মাণ করতে গিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনও নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে জেটিটির মধ্যভাগের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। অবশিষ্ট জেটির অংশও ভেঙে ফেলা জরুরি হয়ে পড়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে ভাঙা অংশ সহ জেটিটি অপসারণ করতে হবে। নইলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জেটি অপসারণের পক্ষে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ইনানী জেটি সাত দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার দাবি
ইনানী জেটি সাত দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার দাবি

বক্তারা বলেন,  পৃথিবীর দীর্ঘতম এই অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকতকে দ্বিখণ্ডিত করে ২০২১ সালে ইনানী সৈকতে অপরিকল্পিতভাবে একটি স্থায়ী জেটি নির্মাণ করা হয়।  পরিবেশবাদী নেতাদের প্রতিবাদের মূখে নৌবাহিনীর সিদ্ধান্ত ছিল ২০২০ সালে নৌ মহড়ার শেষে ঐ জেটি ভেঙ্গে ফেলা হবে। তবে একজন জাহাজ ব্যবসায়ী তার ব্যবসার সুবিধার্থে কৌশলে জেটিটা ভাঙতে দেয়নি। গত বছর থেকে এই জেটি ব্যবহার করে সেন্টমার্টিনে পর্যটক পারাপারের জন্য একজন প্রভাবশালী জাহাজ মালিককে সুযোগ দেওয়া হয় যা আর চলতে দেওয়া হবে না এবং আজকের এই মানববন্ধন থেকে আলোচিত নৌবাহিনীর ইনানী জেটি ভেঙে ফেলার জোর দাবী জানাচ্ছি

উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর ইনানী সৈকতের ভাঙা জেটি অপসারণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ আট কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই চিঠি প্রেরণ করেন বেলার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস হাসানুল বান্না।

এর আগে গত ২৭ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পাঠিয়ে অবৈধ জেটিটি উচ্ছেদ এবং জেটি দিয়ে প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধের দাবি করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি পাঠানো হয়।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত