আমাদের নগরায়ণের কৌশল পাল্টাতে হবে: বিআইপি সভাপতি
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নগরায়ণের কৌশল পাল্টাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ প্লানার্সের (বিআইপি) সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট পরিবেশের বিপর্যয় ও ঝুঁকি মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। সেমিনারের আয়োজন করে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং প্রতিচ্ছবি।
অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের কথা বলার চেয়ে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কাজ করা জরুরি। আমাদেরকেই আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে হবে।
নতুন বাংলাদেশকে নতুন করে গড়তে হলে রাজপথ থেকে কাজ শুরু করতে হবে। আমাদের নগরায়ণের কৌশল পাল্টাতে হবে এবং তরুণদের দখলদারদের মুখোমুখি হয়ে একটি সুন্দর পরিবর্তন আনতে হবে।
সেমিনারের মূল বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানি, যেমন তেল, গ্যাস এবং কয়লার ব্যবহার থেকে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂) এবং অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হয়, যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারের ফলে যে পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হচ্ছে, তা জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত।
তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানি বা রিনিউয়েবল এনার্জি এই সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ ৯০% হ্রাস করার একটি লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে, যা নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমেই সম্ভব।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’র (ধরা) সদস্যসচিব শরীফ জামিল বলেন, ‘বিগত সরকার লম্বা সময় রাষ্ট্র পরিচালনা করায় অনেক নীতি, আইনি কাঠামো, প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ সবের বিজ্ঞানভিত্তিক স্বচ্ছ পূণর্মূল্যায়ন মানুষের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে সম্পন্ন করা প্রয়োজন।’
প্রতিচ্ছবির সভাপতি মোহাম্মদ মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা আল মামুন, ড. এম মাহবুব হোসাইন, জিন বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মাহফুজুল কাদের (হেলাল), ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের (ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট) পরিচালক গাউস পিয়ারী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশেদুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।