রাজধানীর চারপাশে বয়ে চলা চারটি নদী রক্ষার আকুতি জানিয়েছেন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা।রাজধানীর শাহবাগে ‘আমাজন থেকে সুন্দরবন, পরিবেশ রক্ষায় সোচ্চার হোন’ শিরোনামের কর্মসূচিতে এমন আকুতি জানায় পরিবেশভিত্তিক ১৬টি সংগঠন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ মূলত নদীর সন্তান। নদীর বুকে তাদের বসবাস। এরপরও যদি নদীকে সুন্দরভাবে বাঁচতে দিতে না পারি তাহলে সেটি হবে জাতি হিসেবে আমাদের চূড়ান্ত ব্যর্থতা।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি অধ্যাপক এম আবু সাঈদ, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদারসহ অনেকেই।
পরিবেশ নিয়ে কাজ করা অধ্যাপক আবু সাঈদ বলেন, গত দুই বছরে আমাজনে ৭৪ হাজার বার আগুন লাগানো হয়েছে। এটি ব্রাজিল সরকারের ব্যর্থতা। একই সঙ্গে করপোরেট ব্যবসার জন্য আমাদের সুন্দরবন ধ্বংসের চক্রান্ত করছেন তাদের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হতে হবে। আমাজন বাঁচালে যেমন পৃথিবীর ফুসফুস বাঁচবে তেমনি সুন্দরবন বাঁচানো গেলে আমাদের ফুসফুস বাঁচবে।
হীরক সরদার নামে পরিবেশ আন্দোলনের একজন নেতা নিজের বক্তৃতায় বলেন, সময় চলে গেলে আমাদেরকে পস্তাতে হবে। নদীগুলোকে আর বাঁচানো যাবে না, পরিবেশকে ফিরিয়ে আনা যাবে না পুরনো সময়ে। তখন আমাদেরকে শুধুমাত্র হাহাকার করতে হবে, পরিতাপ করতে হবে। তাই এখনই সবাইকে পরিবেশ রক্ষার জন্য সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, ঢাকায় এখন অনেকগুলো উন্নয়ন প্রকল্প চলছে। এসব প্রকল্পে পেছনে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছি আমরা। কিন্তু বৃষ্টি হলে পানিবদ্ধতা কমাতে পারছি না। কারণ এই শহরের সব নদী-নালা-খাল-বিল ভরাট করে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ। এই উন্নয়নের ফলাফল শূন্য।
কর্মসূচির আয়োজনকারী সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, হেরিটেজ ক্রিয়েটিভ কাউন্সিল, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, এনসিসিবি ট্রাস্ট, বারসিক, সিডিপি, তরুপল্লব, পুরাতন ঢাকা পরিবেশ উন্নয়ন ফোরাম, আদি ঢাকাবাসী ফোরাম, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন, পুরাণ ঢাকা নাগরিক উদ্যোগ ও গ্রিন ভয়েস।