আইবিএম নতুন এমন একটি প্রযুক্তি যা আবহাওয়া নিয়ে নির্ভুল ভবিষ্যদ্বাণী করতে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রযুক্তিটি নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তাদের উদ্ভাবিত নতুন এই প্রযুক্তি আবহাওয়া নিয়ে যথেষ্ট পূর্বাভাস দেবে বলে ধারনা করা যায়।
জানা যায়, এতে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগেভাগেই প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাবে। যেমন ঠিক কখন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে, কখন কোন পথে বিমান গেলে পরিষ্কার আকাশ পাবে বা কখন ফসল আগেভাগেই খেত থেকে তুলে নিতে হবে—এসব বিষয়ে তারা সতর্ক থাকতে পারবে।
ইউনিভার্সিটি অব ওকলাহোমার মেটেওরলজির প্রসেসর ফ্রেড কার জানিয়েছেন, আইবিএমের মতো হাই রেজুলেশনের ফরকাস্টিং সিস্টেম বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আছে। কারণ নির্ভুল তথ্য বের করতে যথেষ্ট সময় লাগে। পুরো বিশ্বের জন্য একই মানের পূর্বাভাস দেওয়া গেলে সেটা দারুণ কিছুই হবে। রাডার, প্লেন ও সারফেস মেজারমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
আইবিএম বাকি বিশ্বের জন্য কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
বেশির ভাগ পূর্বাভাসের রেজুলেশন দেখে ১০ থেকে ১৫ স্কয়ার কিলোমিটারের অবস্থা নির্ণয় করা যায়। নতুন তথ্য পাওয়া যায় প্রতি ছয় থেকে ১২ ঘণ্টা পর পর। আইবিএমের গ্লোবাল হাই রেজুলেশন অ্যাটমোসফেরিক ফোরকাস্টিং সিস্টেমের মাধ্যমে ৩ স্কয়ার কিলোমিটারের তথ্য পাওয়া যাবে। নতুন তথ্য পাওয়া যাবে প্রতি ঘণ্টায়।
বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ইউরোপের দেশগুলোতেই আবহাওয়া সম্পর্কে এত নির্ভুল তথ্য পাওয়া যায়।
ভবিষ্যতে আইবিএম স্মার্টফোনের অ্যাটমোসফেরিক প্রেসার সেনসর থেকে আবহাওয়ার তথ্য সংগ্রহ করবে। এই সেনসর গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম ও জিপিএসের তথ্য নির্ভুলভাবে দেবে। সূত্র :ভয়েস অব আমেরিকা