রাজশাহীর বাগমারার বিভিন্ন এলাকায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ।সরিষা ফুলের হলুদ রঙে ভরে গেছে মাঠের চারিদিক। কৃষকরা বলছেন ,আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হতে পারে।
উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌর এলাকার কৃষি মাঠজুড়ে এখন সরিষার হলুদ ফুলের হাতছানি। জানা যায়, গত বছর আবহাওয়া অনুকুলে না থাকার কারণে সঠিক সময়ে জমিতে বীজ বপন করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকেরা সঠিক সময়ে জমিতে বীজ বপন করতে পেরেছেন। এ কারণে এবার উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুন জমিতে সরিষা চাষ হয়েছেবলেও জানা যাচ্ছে।উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরিষা অধিক লাভজনক একটি ফসল। সরিষা চাষে আর্থিক খরচ ও শ্রম দুটিই কম লাগে। তাছাড়া গত বছর সরিষার ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকেরা এবার ব্যাপকভাবে সরিষা চাষ করেছেন।
গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের এক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছর তিনি চার বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলেন। এতে খরচ হয়েছিলো প্রায় ৩ হাজার টাকা। কিন্তু এর বিপরীতে তিনি লাভ পেয়েছিলেন প্রায় ১২ হাজার টাকা। এ কারণে এবার তিনি ছয় বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন।
বাগমারা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় নয় হাজার তিন শ’ ২৫ হেক্টর জমিতে। পুরো উপজেলায় এবার মোট ১২ হাজার সাত শ’ ১৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে দেশী টরি-৭ জাতের সরিষার চাষ হয়েছে আট হাজার দুই শ’ ১০ হেক্টর জমিতে। আর বাকি দুই হাজার তিন শ’ হেক্টর জমিতে জাপানী ও দুই হাজার দুই শ’ পাঁচ হেক্টর জমিতে রাইসহ বিভিন্ন জাতের সরিষা চাষ হয়েছে।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুর রহমান জানান, অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষা চাষে আর্থিক খরচ ও শ্রম দুটিই কম লাগে। এ কারণে এ অঞ্চলের কৃষকেরা এবার সরিষা চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন। তাছাড়া আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং সরিষা গাছের ফুটন্ত হলুদ ফুলে মৌমাছিরা সঠিকভাবে পরাগায়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হওয়ায় এ উপজেলায় এবার সরিষার ফলন ভালো হবে। এ ক্ষেত্রে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।