31 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
সন্ধ্যা ৬:৫৮ | ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
জলবায়ু তাহসিন তাহা

অধিকাংশ ভোটার মনে করেন যে অস্ট্রেলিয়া জলবায়ুর জন্য যথেষ্ট কাজ করছেন না – গার্ডিয়ান এসেনশিয়াল জরিপ

অধিকাংশ ভোটার মনে করেন যে অস্ট্রেলিয়া জলবায়ুর জন্য যথেষ্ট কাজ করছেন না – গার্ডিয়ান এসেনশিয়াল জরিপ

তাহসিন তাহা (স্টুডেন্ট, ডিপার্টমেন্ট অব ল,
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা)

গার্ডিয়ান এসেনশিয়াল জরিপে অধিকাংশ ভোটার মনে করেন যে অস্ট্রেলিয়া জলবায়ুর জন্য যথেষ্ট কাজ করছেন না, প্রায় ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা আরও পদক্ষেপ দেখতে চান যা গত মার্চের এর তুলনায় বেশী – ক্যাথরিন মারফি
গত ২৩/১১/১৯ তারিখে ক্যানবেরার সংসদ ভবনের বাহিরে একটি সমাবেশের ব্যানার, ভোটারদের ক্রমবর্ধমান বেশী অংশ জলবায়ু জরুরি অবস্থার বিষয়ে আরও পদক্ষেপ চায়।

ভোটারদের একটি ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ যে, অস্ট্রেলিয়া জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস করতে যথেষ্ট কাজ করছে না এবং সর্বশেষতম গার্ডিয়ান এসেন্সিয়াল জরিপে দেখা যায় যে, আরও লোকজন উষ্ণায়ন এবং বুশফায়ারের মধ্যে সরাসরি সংযোগ দেখতে পায়। সামগ্রিকভাবে মরিসন সরকারকে নিয়মিত জনসাধারনে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে এবং জলবায়ু সঙ্কটের ঝুঁকি কমাতে তার সরকার যে যথেষ্ট পরিমানে কাজ করছে না এর সমর্থন দিনকে দিন বাড়ছে।

১০৮৩ জন নমুনা ভোটারদের মধ্যে জরিপে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোটার বিশ্বাস করে যে অস্ট্রেলিাকে আরও বেশি কিছু করা উচিত এবং এটি গত মার্চ মাসে ৫১% থেকে উপরে। মাত্র অর্ধেক নমুনার ভোটার অর্থাৎ ৪৩ শতাংশ বিশ্বাস করে যে সম্ভবত বুশফায়ারসমূহ জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে যুক্ত ছিল এবং যুক্তি দেয় যে, অস্ট্রেলিয়া জুড়ে আমরা গত পাক্ষিকের মধ্যে জরুরি অবস্থার সময় সে সম্পর্কটি নিয়ে আলোচনা করা পুরোপুরি উপযুক্ত ছিল। এ প্রশ্নটি সর্বশেষ ২০১৩ সালে জরিপ উত্তরদাতাদের কাছে করা হয়েছিল, তখন মাত্র ২৭ শতাংশ নমুনার এ দৃষ্টিভঙ্গি ছিল।

অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এখন জলবায়ু পরিবর্তণ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে যোগসূত্রটি গ্রহন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ২৩ নভেম্বর ২০১৯ বন-জঙ্গল আগুনে পুড়ে যাওয়া (বুশাফায়ার) নিয়ে এক বিবৃতি দেওয়ার সময় সংসদে যুক্তি দেখিয়েছেন বিপর্যয়ের সময় বির্তকে যাওয়া ঠিক হবে না। শ্রমিক নেতা অ্যান্টনি আলবানিজ ২৩/১১/১৯ তারিখে মরিসনের মন্তব্যের অনুরুপ করে বলেছেন যে, অস্ট্রেলিয়ার এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিষয়গুলোর উপর মতভেদ সৃষ্টি করা ঠিক নয়।

জনসাধারনের আলোচনায় বিষয়টির প্রতি “শান্ত” হওয়া এবং “বিরুপ না হওয়ার” আহŸান জানিয়েছেন। ভোটাররা সম্ভবত মনে করে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় অস্ট্রেলিয়া যথেষ্ট পরিমানে কাজ করছে না। তারা লেবার পার্টি বা গ্রিনস পার্টিকে সমর্থন করে। তবে সর্বশেষ গার্ডিয়ান জরিপটি ইঙ্গিত দেয় যে, বর্তমান জোট সরকারের ৪৬ শতাংশ সমর্থনকারী ভোটারগন এ মতামত দিয়েছে।

জরিপটি নির্দেশ দেয় যে, প্রায় ৬১ শতাংশ নমুনা ভোটার বিশ্বাস করে যে, জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে এবং এটি মানুষের ক্রিয়াকলাপের কারনেই ঘটছে। এ স্তরের সমর্থনটি এ বছরের মার্চ এবং গত বছরের অক্টোবরে নেওয়া পাঠগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। নমুনা ভোটারদের মধ্যে শ্রমিকদলের ভোটারদের ৭৪ শতাংশ এবং গ্রীন দলের ভোটারদের ৮৯ শতাংশ দ্বারা এ মতামত সমর্থন করা হলেও এটি কোয়লিশনের পক্ষের ভোটারদের ৪৭ শতাংশ সমর্থন করে। নমুনার মাত্র এক চতুর্থাংশ ভোটার (২৮%) জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এরুপ ঘটছে না বলে মনে করছে না, তারা পৃথিবীর জলবায়ুর সাধারন ওঠানামা হিসাবে এটাকে দেখছে। ভোটারদের বয়সের উপর নির্ভর করে ধারনা গুলো আলাদা।

১৮-৩৪ বছর বয়সী মানুষেরা মনুষ্য সৃষ্ট কার্যকলাপের ফলেই জলবায়ুর পরিবর্তণ ঘটছে বলে স্বীকার করছে এবং ৫৫ বছরেরও বেশি ভোটার কমপেক্ষে ৫০ শতাংশ সম্ভবত ঘটছে বলে মনে করে। মঙ্গলবার প্রকাশিত ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়স্ক ২৫ হাজার অস্ট্রেলিয়ানদের উপর পরিচালিত অপর একটি জরিপে শহর ও গ্রামের উভয় অংশের ভোটাদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে উদ্দেগের বিষটির হঠাৎ উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। অস্ট্রেলিয়া যুব জরিপের অংশ হিসাবে সবাইকে অস্ট্রেলিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ইস্যুর নাম বলতে বলা হয়েছিল।

মানুষিক স্বাস্থ্যের নেপথ্যে, পরিবেশ বিষয়টি দ্বিতীয় বৃহত্তম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে স্থান পেয়েছে। ৩৪ শতাংশ তুরুণরা বেছে নিয়েছে যারা অর্ধেকেরও বেশি জলবায়ু পরিবর্তনের উল্লেখ করেছেন। ২০১৮ সালের জরীপে পরিবেশ বিষয়টি অষ্টম স্থানে ছিল এবং কেবল মাত্র ৯% যুবক মতামত দিয়েছিল। মিশন অস্ট্রেলিয়ার চিফ এক্সিকিউটিভ জেমস টমি বলেছেন তরুনরা বঞ্চিত হচ্ছে বলে বোধ করছে এবং তাদের এটি শোনার জন্য অন্য উপায় খুঁজে নিতে হচ্ছে “যেমন জলবায়ু ধর্মঘট”। তিনি বলছেন “ক্রমবর্ধমান জনমত সংলাপ এবং বিষয়গুলির অভিজ্ঞতা চরম আবহাওয়া ঘটনা এবং খরা স্পষ্টতই বিশ্বের তুরুনদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাবিত করছে”।

বুশফায়ার এবং জলবায়ু পরিবর্তন:

২৩/১১/১৯ তারিখে সংসদে প্রশ্নোত্তর সময়ে মরিসন তার জোট সরকারের নেয়া জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপের পক্ষালম্বন করেন। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে অস্ট্রেলিয়া অতীতে দেশের সে দলগুলির অধিনে ছিল যারা বলেছে “আমরা বিশ্বকে প্রতিশ্রæতি দিয়েছি” এবং “আমরা তা চালিয়ে যাব”। কিন্তু তিনি আরও বলেন যে “গ্রিনস পার্টি এবং লেবার পার্টি সমর্থিত বেপরোয়া লক্ষমাত্রা” গ্রহনে তার সরকারের কোনো ইচ্ছা নেই। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছে এ যুক্তি দেওয়া “সম্পূর্ন মিথ্যা” যে যদি জোট সরকার উচ্চতর কার্বণ নির্গমন হ্রাস লক্ষমাত্রা অনুসরণ করত তাহলে বন-জঙ্গল আগুনে পোড়াতনা (বুশফায়ার হত না)।

অস্ট্রেলিয়া কার্বণ নির্গমন হ্রাস করার জন্য প্যারিস চুক্তির আওতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে ২০১৩ সালে। জোট সরকার জয়ের পর পরই কার্বন মূল্য বাতিল করে এবং তারপর থেকে দূষণ ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। গত নভেম্বর ২০১৯ এ গার্ডিয়ান অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতির পডকাস্টে মিডিয়ার সাথে একটি সাক্ষাতকারে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ম্যালকাম টার্ণবুল মরিসনের নিয়মিত প্রদিবাদগুলি নাকচ করেন এবং বলেন যে, যথেষ্ট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া বিদ্যুৎ খাতের দ্রুত সিন্ধান্ত গ্রহন ছাড়াই তার প্যারিসের নির্গমণ লক্ষ্য পূরনে লড়াই করতে পারত। টার্নবুল আরও বলেছেন যে, সুসংহত জলবায়ু ও জ্বালানী নীতি বিকাশের ক্ষেত্রে লিবারেল পার্টির অবিচ্ছিন্ন ব্যর্থতা বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশকে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার গত নির্বাচণের আগাম জরিপের মতামত নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে নির্বাচনের পরে বিতর্ক হয়েছে। কারণ নিউজপোল, ইপসোস, গ্যালাক্সি বা এসেনশিয়াল কর্তৃক বড় বড় জরিপের কোনটিতেই গত ১৮মে নির্বাচনে জোটের জয়ের পূর্বাভাস পাওয়া যায়নি। জরিপ গুলিতে শ্রমিকদল ও কোয়ালিশনের মধ্যে ৫১-৪৯ এবং ৫২-৪৮ অনুপাতে প্রাপ্ত ফলাফল শ্রমিকদলকে এগিয়ে রেখে ভবিষ্যদ্ধানী করেছিল।

নির্বাচনে নির্ভূলতার যে ঘাটতি রয়েছে তাকে এসেনসিয়াল এর জরিপে জনগন কর্তৃক প্রতিফলিত হয়েছে।

গার্ডিয়ান অস্ট্রেলিয়া এখন প্রাথমিক ভোটের পরিমাপ বা দু’পক্ষের পছন্দসই গননা প্রকাশ করছে না, কিন্তু নেতাদের সম্পর্কে এবং তাদের নীতির সর্ম্পকে জনগনকে করা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব/জরিপের ফলাফল ধারবাহিক ভাবে প্রকাশ করে চলেছে।

নির্বাচনী জরিপরে কম বেশী ৩% ত্রæটির মার্জিনটি জলবায়ু সংকট বাড়াচ্ছে… .. ..

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত