অবৈধ ইটভাটায় নষ্ট হচ্ছে কৃষিজমি
প্রতিবছর সারাদেশে সাড়ে ৭ লাখ একর কৃষির জমির মাটি নষ্ট করছে ইটভাটা। যা পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টন। পরিবেশ বিষয়ে একটি বেসরকারি সংস্থার জরিপ বলছে, প্রায় ৮ হাজার ইটভাটা দেশের কৃষি জমি উজাড় করছে।
আইন অনুযায়ী শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে কোন ইটভাটা থাকতে পারবে না। কাঁচামালের জন্য ব্যবহার করা যাবে না ফসলি জমি মাটি। ক্ষতি করা যাবে না আশপাশের বনজ ও ফলজ গাছের।
কিন্তু ঢাকার ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের পাল্লি গ্রামের বিদ্যালয় ও কমিউনিটি ক্লিনিকের মাত্র ৪০০ মিটারের মধ্যে এই ইটভাটার দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চে মাহী এন্টারপ্রাইজ নামের এই ইটভাটাকে আইনভঙ্গ করার জন্য জরিমানা ও পরিবেশ ছাড়পত্র বাতিল করে পরিবেশ অধিদপ্তর। তারপরও বন্ধ হয়নি ইটভাটা। লোকালয় থেকে ইটভাটা সরাতে মানববন্ধনও করেছে এলাকাবাসী।
ইটভাটা নিয়ে সারাদেশের চিত্র একই রকম। কৃষি জমি, লোকালয়, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছেই চলছে ইটভাটা। জোর করে কিংবা কৌশলে মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে কৃষি জমির।
পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে প্রতিবছর কমপক্ষে সাড়ে ৭ লাখ একর কৃষি জমির মাটি কেটে পোড়ানো হচ্ছে ইটভাটায়। দেশের প্রায় ৮ হাজার ইটভাটা কৃষি জমি উজার হওয়ার কারণ।
তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক জানান, নিয়ম কানুন মেনেই ইটভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র দেয়া হয়। অনিয়মের প্রমাণ পেলে জরিমানা এমনকি অনুমোদন বাতিল করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজনের যোগসাজসের অভিযোগ নাকচ করে দেন তিনি।