অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন দূষিত পরিবেশ বুটেক্সে
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে সঠিক ময়াল আবর্জনার ব্যবস্থা নেই । পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাস্টবিন স্থাপন না করায় ক্যাম্পাসের ময়লা ফেলার জায়গার অভাবে অপরিচ্ছন্নতা বেড়ে যাচ্ছে।
অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে হাতেগোনা কয়েকটা ডাস্টবিন থাকলেও নেই ক্লাসরুমগুলোতে, নেই খেলার মাঠের চারপাশের যাতায়াতের রাস্তার পাশে।
দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে তুলনা করলে আয়তনে অনেক ছোট বুটেক্স। তবে আয়তনে ছোট হলেও একে রঙ তুলির আঁচড়ে কিংবা বনায়নের মাধ্যমে সুন্দর করে রাখার প্রচেষ্টার কমতি নেই শিক্ষার্থীদের মাঝে।
ক্যাম্পাসের দেয়ালে নানান ধরনের গ্রাফিতি শিক্ষার্থীদের সুরুচিরই বহিঃপ্রকাশ। তবে এই ছোট্ট ক্যাম্পাসটাকে সুন্দর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আবদার সঠিক ময়লা আবর্জনার ব্যবস্থাপনার সাথে রোডসাইড ডাস্টবিন।
অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে হাতে গোনা কয়েকটা ডাস্টবিন থাকলেও কোনো ডাস্টবিনের দেখা মিলে না ক্যাম্পাসের মাঠঘিরে রাস্তাগুলোতে। শুধু তাই না, কোনো ক্লাসরুমেই নেই ডাস্টবিন।
দেখা যায়, একজন শিক্ষার্থী তার হাতে থাকা প্লাস্টিকের বোতল বা ওয়ানটাইম ইউটিলিটিগুলো ফেলার জন্য ডাস্টবিন খুঁজছে। কিন্তু ক্যাম্পাসে ডাস্টবিনের অভাবে যত্রতত্র ময়লা ফেলায় তাতে আবর্জনা জমা হয়ে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য নষ্ট করছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা সেকশনের সহ-পরিচালক স্বপন কুমার মন্ডল বলেন, ‘ডাস্টবিন তাদের স্টকে আছে।
অতি দ্রুতই এগুলো স্থাপন করা হবে।’ তাছাড়া তিনি শিক্ষার্থীদের যত্রতত্র ময়লা না ফেলার জন্যও আহ্বান জানান। রোডসাইডে ডাস্টবিনই যদি না থাকে তাহলে ময়লা ফেলবে কোথায়?
এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কটন ল্যাবের ভিতরেই ডাস্টবিন আছে। ক্যান্টিন থেকে যারা হাতে করে বোতল বা ওয়ান টাইম ইউটিলিটিস নিয়ে বের হয়, তারা কটন ল্যাবের ডাস্টবিন ব্যবহার করতে পারে।’
ক্যাম্পাসের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে স্থায়ী বা অস্থায়ী ডাস্টবিন মাঠের চারপাশে স্থাপনের যৌক্তিক দাবিটি প্রশাসন অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করবে বলে বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের।