জনসংখ্যা বৃদ্ধি আর অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য।এর মধ্যেই বাংলাদেশে পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে ৩১ প্রজাতির প্রাণী।জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারনে প্রকৃতির পরিধি দিন দিন কমে আসছে।অপরিকল্পিত নগরায়নে হুমকিতে জীববৈচিত্র্য।
পরিবেশবিদরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি সঠিকভাবে মোকাবিলা করা না গেলে টিকে থাকা প্রাণীগুলোর অস্তিত্বও ঝুঁকির মুখে পড়বে।
আইইউসিএনের বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় বাংলাদেশের ৭ পর্বের ১৬১৯টি প্রজাতির কথা উঠে এসেছে। এর মধ্যে অতিবিপন্ন ৫৬, বিপন্ন ১৮১ এবং সংকটাপন্ন হিসেবে ১৫৩ টি প্রজাতিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।এছাড়াও তালিকায় ৩১ টি প্রজাতিকে পুরোপুরি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে স্তন্যপায়ী ১১টি, পাখি ১৯টি এবং সরীসৃপ ১ টি।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব ও ব্যক্তিগত অসচেতনতাকে দুষছেন পরিবেশবিদরা।কীটতত্ত্ববিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের প্রচলিত যে আইন রয়েছে। আইনগুলোর সঠিক প্রয়োগ করতে পারলে এই প্রকৃতি টিকে থাকবে।
বন্যপ্রাণীর অভয়াশ্রম নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তৎপরতা আরো বাড়ানোর পরামর্শ পরিবেশ সংস্থাগুলোর।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড.এ এফ এম জামাল উদ্দিন বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে সরকার একটা উদ্যোগ নিবে তার সাথে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমরা সবাই মিয়ে চেষ্টা করলে বাংলাদেশে যে সকল প্রাণী হারাতে বসেছিলাম আমরা তা আবার ফিরে পাবো।
আইইউসিএনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে সবচেয়ে বেশি বিলুপ্ত হয়েছে পাখি।