অনিয়মের ভিডিও করার কারনে বোটানিক্যাল গার্ডেনে পরিবেশকর্মীকে অবরুদ্ধ
রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের (বোটানিক্যাল গার্ডেন) অনিয়মের ভিডিও চিত্র ধারণ করায় এক পরিবেশকর্মীকে আটকে রাখা ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ওই পরিবেশকর্মীকে প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকে রাখার পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে উদ্যানের ভেতর বর্জ্য পোড়ানোর চিত্র ধারণ করায় সেভ ফিউচার বাংলাদেশ নামে একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক নয়ন সরকারকে এই হয়রানির ঘটনা ঘটে। পরে বেলা ১২টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভুক্তোভোগী নয়ন সরকার অভিযোগ করে বলেন, ‘উদ্যানে ঘুরতে গিয়ে আমি বিভিন্ন স্থানে বর্জ্য পোড়াতে দেখতে পাই। অথচ বনভূমিতে আগুন পোড়ানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে বায়ু দূষণে দর্শনার্থীসহ প্রাণীদের ক্ষতিতো আছেই, এর মাধ্যমে যে কোনো সময় বনে আগুনও লাগতে পারে।
এজন্য উদ্যান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড দেওয়া থাকলেও খোদ বন কর্তৃপক্ষকেই আগুন জ্বালাতে দেখে সেই ভিডিওচিত্র ধারণ করি। আমি কাছে গিয়ে দেখতে পাই সন্ধ্যা রাণী নামের উদ্যানের এক কর্মী সেখানে পড়ে থাকা চিপসের প্যাকেটসহ বিভিন্ন আবর্জনা একত্রিত করে তাতে আগুন জ্বালাচ্ছে।
এ সময় আমাকে ভিডিও করতে দেখে সেখানকার আরেকজন বন কর্মী গালাগালিসহ খুবই খারাপ আচরণ করে। তারপর তিনি খবর দিলে মোটরসাইকেল নিয়ে আরও একজন আসেন। তারা আমার মোবাইল কেড়ে নেন। একজন রেঞ্জ অফিসারসহ এসে আমাকে ধরে গালাগালি করতে করতে পরিচালকের অফিসে নিয়ে যান।
সেখানে তারা আমার গায়ে হাত দেন, ধাক্কাধাক্কি করেন। পরিবেশকর্মী পরিচয় দেওয়ার পরও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে, নানান হুমকিও দেন। আমার মোবাইল ফোনের অন্য সব ছবি এবং ভিডিও তারা ডিলিট করে দেন।
এভাবে অন্তত দেড় ঘণ্টা আটকে হেনস্থার পর আমি টিকিট ছাড়া উদ্যানে প্রবেশ করেছি এমন ভুয়া একটি মুচলেকা জোরপূর্বক লিখিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়। আমি মিথ্যা মুচলেকায় দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমার হাত-পা ভেঙে ফেলারও হুমকি দেয় তারা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান এর পরিচালক ড. মো জাহিদুর রহমান মিয়া। তিনি বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। এটা ঘটার কথাই না। আমি খোঁজ নিচ্ছি। আগামীতেও যেন এমন ঘটনা না ঘটে সে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’