সারাদেশে অবৈধভাবে নদ–নদী দখল করে বিভন্ন স্থাপনা, কলকারখানা গড়ে তুলেছে বিভিন্ন অসাধু ব্যাক্তিগণ।আর এসব কারনে নদীগুলো যেমন ছোট হয়ে আসছে তেমনি নদী তীরে গড়ে ওঠা এসব কলকারখানার তরল বর্জ্য নদীতে মিশে নদীর পানিকে দূষিত করে ফেলছে। এতে নদীর পানি বিষাক্ত হয়ে মাছ মারা যাচ্ছে, নদীর বাস্তুসংস্থান নষ্ট হচ্ছে।
দেশের ৬৪ জেলায় অবৈধ নদ–নদী দখলদার ৪৯ হাজার ১৬২ জন চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা জেলায় নদী দখলদারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই জেলায় নদী দখলদারের সংখ্যা ৫ হাজার ৯০৬ জন।গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নদ–নদী দখলদারদের এসব তথ্য উপস্থাপন করেন।
তিনি জানান, দেশের সব জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নদ–নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তুতকৃত তালিকা জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ওয়েবসাইটে ও সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য বাতায়নে আপলোড করে সর্বসাধারণরে জন্য উন্মুক্ত করে রাখা হয়েছে। এতে সারা দেশে ৪৯ হাজার ১৬২ জন অবৈধ দখলদারের বিবরণ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নদ–নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার কার্যক্রম চলমান প্রক্রিয়ায় রয়েছে।সব জেলা প্রশাসককে প্রস্তুতকৃত তালিকা অনুসারে ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার জন্য অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর থেকে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১০২৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং ২১.৫ একর তীরভূমি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী দেখা যাচ্ছে, কুমিল্লার পর দ্বিতীয় স্থানে থাকা চট্টগ্রাম জেলায় নদী দখলদাদের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০৪ জন। তৃতীয় অবস্থানে থাকা নোয়াখালীতে রয়েছে ৪ হাজার ৪৯৯ জন। এ ছাড়া দখলদারের সংখ্যা বিবেচনায় শীর্ষ দশে আছে কুষ্টিয়া (৩১৩৪ জন), বরিশাল (২২৭২ জন), ময়মনসিংহ (২১৬০ জন), ফরিদপুর (১৮৪৩ জন), বরগুনা (১৫৫৪ জন), নাটোর (১৫৪১ জন), গোপালগঞ্জ (১৩৯৯ জন) জেলা। আর সবচেয়ে কম নদী দখলদার লালমনিরহাট জেলায় (১৩ জন)।