বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ। নদী মাকৃত এই দেশ এখন খাল মাতৃক দেশ হিসেবে পরিচিত লাভের পথে। দখল-দূষণে নদীগুলোর করুন অবস্থা শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। দেশে এতো কিছু থাকতে নদী কেন শোষণের তালিকায়। নদী রক্ষায় প্রায় দেখা যায় বিভিন্ন পদক্ষেপ। পদক্ষেপ পদক্ষেপের জায়গায় আর নদী দখলের স্থান সেখানেই। বিষযটি এমন হয়েছে যে, দেশ সবার আর নদী হচ্ছে দখলকারীর। নদ-নদী রক্ষায় বছরজুড়েই দেখা যায় বিভিন্ন পদক্ষেপ। কিন্তু কতটা কার্যকর হলো সেই পদক্ষেপ। আর কত দিন লাগবে নদী দখল-দূষণ ঠেকাতে ? নাকি নদী রক্ষার কাজটি শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
গত ৫৭ বছরে নদী মাতৃক এই বাংলাদেশের শুকিয়ে গেছে ১৫৮টি নদী। দুটি গবেষণার সমীক্ষা এমনটাই উঠেছে এসেছে। ২০১০ সালে বাংলাদেশ দুর্যোগ ফোরাম প্রকাশ করে ছিলো যে, ১৯৬৩-২০০০ সাল পর্যন্ত দেশে নদ-নদীর সংখ্যা কত কমল এমন একটি সমীক্ষা। আর সেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের একদল গবেষক তালিকা তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সমীক্ষায় বলা হয় দেশের ১১৫ নদ ও নদী শুকিয়ে মৃতপ্রায়।
দুই গবেষণার অন্যটি প্রকাশ করেছে, নদী, পানি–প্রকৃতি নিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা বেসরকারি একটি সংগঠন যার নাম উত্তরণ। উত্তরণের সমীক্ষা অনুযায়ী ২০০০-২০২০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ গত ২০ বছরে দেশে ৪৩ নদী শুকিয়ে গেছে। তারা বলছে উপকূলে বিভিন্ন বেড়িবাঁধ ও নদীতে নানান ধরনের অবকাঠামো নিমার্ণ ও দখলের কারণে নদীর মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না।