হাসপাতালের পাশের ডোবায় ফেলা হচ্ছে আবর্জনা, যাতায়াতে রোগীদের দুর্ভোগ
নেত্রকোনার সদর হাসপাতালের গেটের পাশের ডোবায় ময়লা-আবর্জনা ফেলায় ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নেত্রকোনা পৌর এলাকার জয়নগরে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের একেবারে মূল গেটের কাছেই উপজেলা পরিষদের মালিকানাধীন ডোবাটি কচুগাছ আর আবর্জনায় ভরে গেছে।
এটি পরিষ্কার ও সংস্কার না করায় হাসপাতালসহ আশপাশের আবাসিক এলাকার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অনেক অভিযোগ উঠেছে। এর পাশেই আবার ১২ তলা হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এই ডোবা এখন মশার উৎপাদন কেন্দ্র হয়েছে।
জানা গেছে, ডোবাটি গত বছর করোনার সময়ে একবার পরিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আবার আবর্জনায় ভরে উঠেছে। ডোবায় আবর্জনা যেমন ফেলছে, তেমনি আবার আশপাশের সাত-আটটি ক্লিনিকের বর্জ্য পদার্থও এখানে ফেলা হচ্ছে। বর্তমানে এই ডোবাটি পরিত্যক্ত।
নোংরা ডোবার পাশ দিয়েই হাসপাতালে রোগীদের নিয়ে যেতে হয়। আর বিকল্প কোনো পথ নেই। সদর উপজেলার এই ডোবার পাশে শুধু যে এই হাসপাতাল তা নয়, বরং সেখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি সরকারি কোয়ার্টার, সদর উপজেলা পরিষদ অফিস, সিভিল সার্জন অফিস। এছাড়াও আবাসিক এলাকা রয়েছে।
নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডা. মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘এই ডোবাটি বর্তমানে আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধে পাশ দিয়ে চলাচল করা যায় না। বাতাসে দুর্গন্ধ এসে রোগীদের সমস্যার সৃষ্টি করছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা অ্যাডভোকেট কমলেশ চৌধুরী বলেন, ‘দিনে যেমনি হোক না কেনো, রাতে বাসায় যেতে খুব ভয় করে সাপের কারণে। উপজেলা পরিষদ ইচ্ছে করলেই কিন্তু এই পুকুরটির কচুরিপানা পরিষ্কার করতে পারে এবং আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে পারে।’
নেত্রকোনা প্রকৃতি বাঁচাও অন্দোলনের সভাপতি তানভির জাহান চৌধুরী বলেন, ‘সদর উপজেলা পরিষদের এই ডোবাটি ইচ্ছা করলেই স্থানীয়ভাবে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করতে পারে এবং তা অবিলম্বে করা একান্ত জরুরি।’
নেত্রকোনা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তফসির উদ্দিন খান ডোবাটি প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই ডোবার কিছু অংশ ভরাট করে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ এবং বাকি অংশ পুকুর খনন করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্র পাঠানো হলে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ডোবাটি পরিষ্কার এবং সংস্কার করা হবে, সেই সাথে মাছ চাষের ব্যবস্থাও করা হবে।’