এক সময় দেশের হাওর, বিল, জলাশয়সহ নদ-নদীতে এ মাছ প্রচুর পরিমাণে দেখা গেলেও এখন আর পাওয়াই যাচ্ছে না।রাম টেংরা বিশেষত সিলেট বিভাগে পরিচিত মাছগুলোর একটি। এ অঞ্চলের জলাশয়ে এ মাছ পাওয়া যেত।
মাছটি যে একেবারেই হারিয়ে গেছে তা নয়; তবে আগের চেয়ে পাওয়া যায় অনেকাংশেই কম। সাধারণত নদী, হাওর ও বিলে এ মাছটির বসবাস। ‘রাম টেংরা’র বৈজ্ঞানিক নাম Hemibagrus menoda।
প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা (আইইউসিএন) এর তথ্য মতে, ‘রাম টেংরা’ বিপন্ন প্রজাতির মিঠাপানির মাছ।
শ্রীমঙ্গল নতুন বাজার মাছের আড়তের ব্যবসায়ী মনসুর আলী বলেন, ‘আমাদের পরিচিত অন্য মাছের মতো এ রাম টেংরাও অত্যন্ত সুস্বাদু মাছ। হাওরে গেলেই এগুলো চোখে পড়তো আগে। আমার ছোটবেলা আব্বার সঙ্গে এ মাছ ধরে কেটেছে। এখন এ মাছ চোখে দেখি না। কই যে হারিয়ে গেলো!’
শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সহিদুর রহমান সিদ্দিকী এ মাছটি সম্পর্কে বলেন, রাম টেংরার অন্য নামগুলো হলো ‘ঘাগলা’, ‘কাউন মাগুর’ এবং ‘গাং মাগুর’। অঞ্চলভেদে এ নামকরণগুলো করা হয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে এ মাছটিকে ‘রাম টেংরা’ নামেই চেনেন সবাই।
গত কয়েক বছর আগে আমাদের দেশে যেসব দেশীয় প্রজাতির মাছ বাজারে দেখা যেত তা এখন চোখেই পড়ে না। আমাদের দেশে সুবিধাজনক স্থানে একাধিক মৎস্য অভয়াশ্রম স্থাপনের মাধ্যমে বিপন্ন প্রজাতির এ মাছগুলোকে পুনরায় প্রকৃতিতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
মাছটি সম্পর্কে এ আরও কর্মকর্তা বলেন, মাছটি বৃহত্তর সিলেটের। হাকালুকি হাওর, হাইল হাওর, টাংগুয়ার হাওরসহ বিভিন্ন বিলে এদের দেখা যায়। আমাদের মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নেত্রকোণাসহ অন্য জেলায়ও পাওয়া যেত। এ মাছটি খুবই সুস্বাদু। মানবদেহের জন্য উপকারী পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং কাটা কম থাকায় এ মাছটি সবার কাছে বিশেষ পছন্দের।