বৃক্ষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কারণ এরা অক্সিজেন তৈরি ও বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড দূরীকরণ এবং ভূমি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আমরা অনেকেই আমাদের ঘরের মধ্যে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ছোট ছোট গাছ রাখি। তবে এসব গাছ কি শরীরের জন্যও ভাল? তাহলে আসুন জেনে আসি উত্তর।
প্রকৃতি আমাদের সকলের জন্য অনেক উপকারী। পরিবেশ ঠাণ্ডা রাখা ছাড়াও এক টুকরো সবুজ মানুষের মনের জন্য বেশ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। যদিও একটি বিশাল বন বা ছোট সবুজ পার্কের তুলনায় ছোটগাছের টব বেশ ভিন্ন। তবে গবেষণা বলছে, এটিও একই রকম ভূমিকা পালন করতে পারে।
১. এডিথ কোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডানিকা-লি লারকোম্ব বলেন, এটি বেশ প্রতিষ্ঠিত একটি কথা যে গাছ আমাদের মস্তিষ্কে তড়িৎ প্রবাহে, পেশির টানে ও হৃদযন্ত্রের কাজে বেশ ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
২. অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী গাছপালার কাছে বেশি থাকেন, তাদের মধ্যে মৃত্যুহার কম। এমনকি তাদের ক্যানসার হবার সম্ভাবনাও কম থাকে।
৩. অনেকেই বলেন, শুধুমাত্র সবুজ গাছপালার দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে থাকলেও ক্লান্তি অনেকটা দূর হয়ে যায়, সাথে তাদের মুড চাঙ্গা করে তোলে। এমনকি হাসপাতালের রোগী ছাড়াও যারা ঘরের ভেতর গাছপালার সংস্পর্শে থাকেন, তাদের রক্তচাপ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি বেশ কম থাকে।
৪. শুধু দৃষ্টি নয়, সুগন্ধও মানুষের মন ও মেজাজের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ফুলের সুগন্ধ যেমন জেসমিন বা ল্যাভেন্ডার ফুলের গন্ধ মনের মধ্যে প্রশান্তি এনে দিতে পারে।
৫. বাগানের অভ্যাস অনেক সময় থেরাপির মত কাজ করে। খুব সামান্য কিছু সময় যদি নিয়মিত আমরা গাছপালার সাথে কাটাই, হতে পারে সেটা গাছে পানি দেওয়া বা খুব ছোট কাজ, তাতেই কাজের জন্য যে চাপ আমরা অনুভব করি, তা অনেক কমে যাবে।
৬. অনেকের মতে এসব গাছ ঘরের বাতাসও পরিশুদ্ধ করতে পারে। ১৯৮৯ সালে নাসার একটি গবেষণায় দেখা গেছে গাছ ফরমালডিহাইড বা বেনজিনের মত উদ্বায়ী জৈবপদার্থ দূর করতে পারে।
তবে অনেকের মতে কোন গাছ বাতাস বেশি পরিশুদ্ধ করতে পারে তা ঘরের স্থানের ওপর নির্ভর করে। তবে ঘরে গাছ রাখার ক্ষেত্রে এটাও মাথায় রাখতে হবে, গাছ রাতে কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়ে। তাই কোনটি সঠিক গাছ হবে ঘরের জন্য তা বেশ ভেবে-চিন্তে রাখতে হবে।