বাংলাদেশের মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি। বাংলাদেশের মাটিতে যে ফসল ফলে তা অবশ্যই সোনার চেয়ে খাঁটি। এখন বোরো মৌসুম চলমান। বোরো মৌসুমে মাঠ সবুজে সবুজে ভরে ওঠে। আর ধান কাটার সময় ধানের গন্ধে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। ফসল ভালো হলে কৃষকের মুখে হাসি। আর ফলন যদি খারাপ হয় তাহলে কৃষকের দুঃখের শেষ থাকে না। যদিও সরকার সার ও ওষুধের দাম শিতিল করেছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এখন ধান কাটা শুরু হয়েছে। আবার বিভিন্ন স্থানে ধান কাটাতে এখনো অনেকটা সময় বাকি আছে। কিছু কিছু জমির ধানে এখনো নিয়মিত পানি দিতে হচ্ছে। এবছর বৃষ্টি হয়নি বললেই চলে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় এবছর বোরোর বাম্পার ফলনের আশা করছে প্রায় সকল কৃষক।
দেশের কিছু কিছু ধানের জমির দৃশ্য দেখে আসলেই মন জুড়িয়ে যায়। সবুজ শ্যামলে ঘেরা এই বাংলার মনোরম সবুজ দৃশ্য আরো বেশি করে ফুটে ওঠে ধান মৌসুমে।
বাংলাদেশের যেসকল স্থানে ধান কাটা শুরু হয়েছে তার মধ্যে সুনামগঞ্জ একটি। বর্তমানে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের ধান কাটা শুরু করে দিয়েছেন কৃষকরা। সেখানকার কৃষকদের মুখে আসলেই দেখা যাচ্ছে আনন্দের ছাপ। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায় সমস্যা মূলম করোনাভারাইস মহামারী। করোনাভাইরাস মহামারীতে ধান কাটার জন্য মানুষের অভাব হয়েছে অনেক। তবে যদি প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা না দেয় তাহলে হয়তো ১ মাসের মধ্যে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা। তথ্যানুযায়ী আপাতত জেলার বিভিন্ন স্থানে ৫০ হেক্টর জমির বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে। তবে এক সপ্তাহের ভিতর ফসল কাটার ধুম পড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। ফলন বাম্পার হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে রয়েছে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা। করোনাভাইরাসজনিত কারণে সৃষ্ট শ্রমিক সংকট ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা না দিলে এক মাসের মধ্যে হাওরের সব ঘরে তোলা সম্ভব। শনিবার জেলার বিভিন্ন হাওরে ৫০ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটার ধুম পড়ে যাবে।
জেলার কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী এ জেলায় এবছর ২ লক্ষ ১৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে বোরো ধানের। মধ্যে ব্রি-২৮ এবং ২৯ ধানের পরিমাণ সব থেকে বেশি। সুনামগঞ্জ জেলায় এবছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের।