সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। পর্যটন সংশ্লিষ্টদের দাবি, এই শিল্পে ইতোমধ্যে সিলেট অঞ্চলে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাই, তাই দ্রুত এই শিল্পের উপর থেকে বিধি নিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাহাড় আর পাথর বেয়ে আসা স্বচ্ছ পানির মিতালীর এই অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে কাছে টানে। তাই বৈশ্বিক মহামারীর অবরুদ্ধতা ছিন্ন করে পর্যটকরা ছুটে আসছেন ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে। ঘরবন্দী মানুষগুলো মুক্ত হতে পেরে দারুন রোমাঞ্চিত।
গত মার্চ মাস থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে দেশের সব পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টও বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে বড় অঙ্কের ক্ষতির মধ্যে পড়েছে এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা
শুকতারা রিসোর্ট চেয়ারম্যান স্থপতি সৈয়দা জেরিনা হোসেন বলেন, ভাবছিলাম আসলে কর্মচারীদের নিয়ে কি করা যায়। এর উপরে আছে ব্যাংক ইন্টারেস্ট।
রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস ওনার্স এসোসিয়েশন সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, পর্যটন না আসায় সিলেটে হোটেল-মোটেল, রিসোর্টগুলোতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটির মত ক্ষতি হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত পর্যটন শিল্পের উপর থেকে বিধি নিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পর্যটন মোটেল ব্যবস্থাপক কাজি ওয়াহিদুর রহমান বলেন, সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেও যদি হোটেল-মোটেলগুলো চালু করতে পারি এতে বেতনগুলোও হতে পারে।
সিলেট বিভাগে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস রয়েছে পাঁচ হাজারের মতো।