হঠাৎ করে শুরু হওয়া শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। শীতে সবেচেয় বেশি সমস্যা পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া লোকজন। কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় কষ্ট পাচ্ছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। শীতের জন্য রাস্তায় মানুষের চলাচল কম দেখা গেছে।জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। এ কারণে অফিস-আদালত, হাট-বাজার ও শহর এলাকায় মানুষের উপস্থিতি কমেছে।ঘনকুয়াশার কারণে বিমান, নৌ ও যানবাহন চলাচলও বিঘ্নিত হচ্ছে। দিনের বেলায় গাড়িগুলো হেডলাইন জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের বেশিরভাগ এলাকায় এখন শৈত্যপ্রবাহ নেই। তবে যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও রাজশাহীর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়বে। রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রা।পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় সারাদেশে তাপমাত্রা বাড়বে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের সর্বত্র আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও কুয়াশা পড়তে পারে।
এদিকে রাজধানী ঢাকাও সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। শনিবার সকালে রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জানা যায়, শুক্রবার যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে। হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে মানুষ। শহরের পুরনো মার্কেটগুলোয় শীতের কাপড় বিক্রি বেড়েছে। গত দু’দিন ধরে যশোরে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় দিনাজপুরে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা উঠানামা করছে। তবে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।নওগাঁয় দিনে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকলেও রাতে শীতের তীব্রতা বাড়ছে।কুয়াশা না থাকলেও কনকনে শীতের তীব্রতায় একেবারেই নাজেহাল অবস্থা লোকজনের। আবহাওয়া উপকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার নওগাঁর তাপমাত্রা ছিল ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে বগুড়া আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।এছাড়া কনকনে ঠান্ডা আর ঘনকুয়াশায় জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকাসহ চরাঞ্চলের মানুষ বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকে খড়খুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।