করোনা মহামারিতে সাধারণ ছুটি শেষে ফের শুরু হয়েছে ঢাকার চারপাশের নদীতীর রক্ষার কাজ। আড়াই মাস বন্ধ থাকায় শ্রমিক পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছে ঠিকাদার কোম্পানিগুলো। শ্রমিক পেলে সঠিক সময়েই কাজ শেষ হওয়ার প্রত্যাশা তাদের। প্রকল্প পরিচালক বলছেন, করোনার কারণে কিছু অংশের কাজ পিছিয়ে গেছে। তবে দ্রুত সংশোধিত প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সব টেন্ডার শেষ হবে বলেও জানান তিনি।
ফের কর্মযজ্ঞে মেতেছে ঢাকার চারপাশের নদীতীর। প্রাণ ফিরেছে নদীতীর রক্ষার কাজে। দখলমুক্তের শক্তিশালী অভিযান শেষে টেকসইভাবে নদীতীর রক্ষার কাজ চলার সময়ই মহামারি করোনার প্রভাবে থমকে যায়। তবে সাধারণ ছুটি শেষে আবার কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে কাজে। বিআইডব্লিউটিএর তথ্যমতে, স্থায়ীভাবে নদীর সীমানা নির্ধারণে ১০ হাজার ৮২০টি পিলারের মধ্যে এখন পর্যন্ত সাড়ে চার হাজার পিলার বসানো হয়েছে। যেখানে শতভাগ দৃশ্যমান দেড় হাজার। এছাড়া এক কিলোমিটার খাড়া পাড় ও আড়াই কিলোমিটার ঢালু পাড় বাধাইয়ের কাজও প্রায় শেষের দিকে। শুরু হয়েছে ৬টির জেটি নির্মাণের কাজও।
এস এস রহমান গ্রুপের চেয়ারম্যান রকিবুল আলম দিপু বলেন, আবার নতুন করে কাজ শুরু করেছি। এখন আর আগের মত সেই ভাবে কাজ করতে পারছি না। কারণ লোকবল সেভাবে আসতে পারছে না। আমাদের ৬০ শতাংশ কাজ শেষ। আর ৪০ শতাংশ কাজ আছে।
প্রকল্প পরিচালক বলছেন, করোনার কারণে পিছিয়ে পড়া অংশ কাটিয়ে উঠতে কাজের গতি বাড়ানো হচ্ছে। তবে সংশোধিত প্রকল্পটি দ্রুত চূড়ান্ত হলে তীর রক্ষার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নদীদূষণমুক্ত হবে বলেও জানান তিনি। সূত্র: সময় টিভি