রাজিবুল ইসলাম (রাজিব): বাংলাদেশ সবুজ শ্যামলে ঘেরা একটি দেশ। বাংলাদেশে এমন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সবুজে ঘিরে রাখার জন্য অনেক পরিমাণ অর্থ বাজেট থাকে। প্রতিষ্ঠানের আশে পাশে লাগানো হয় নানান প্রজাতির গাছ গাছালি। আবার দেখা যায় অনেক প্রতিষ্ঠানে শীতকালে অতিথি পাখিদের মেলা বসে। গাছগাছালি দিয়ে ঘেরা এমন প্রতিষ্ঠানের একটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে প্রায় সকল অফিস আদালতও। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকার কারণে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রকৃতি জেগে উঠেছে। জেগে উঠেছে পাখিদের কলকলালি। ক্যম্পাস ফাঁকা থাকায় অনেক ক্যাম্পাসে এখন পাখিরা তাদের মনের আদন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনই একটি বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে বেশ খানিকটা ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস জুড়ে এখন পাখিদের রাজত্ব। প্রকৃতপক্ষে এসময় ক্যাম্পাস ভরপুর থাকে শিক্ষার্থী দ্বারা। কিন্তু এবারের বিষয়টি ভিন্ন। কারণ করোনাভাইরাসের কারণে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে সকল প্রতিষ্ঠানের ন্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে পাখিরা। একই সাথে প্রকৃতি যেন সেজেছে নিজের মতো করে।
পুরো ক্যাম্পাসটা সবুজে ছেয়ে গেছে। কচি সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে দেখা যাচ্ছে কাঠবিড়ালি আর বিভিন্ন জাতের পাখির। পাখিরা গান গােইছে তাদের মনের ইচ্ছা মতো যেখানে এসময় গান গায় শিক্ষার্থীরা।
গাছে নতুন পাতার সবুজে ভরে ওঠা আর ফাঁকা ক্যাম্পাসটা সম্পূর্ণ মাতিয়ে রেখেছে পাখিরা। পুকুরে পাখিদের ঝাঁপাঝাঁপি আর গাছে বসা পাখির ডাক সত্যিই প্রাবন্ত করে তুলেছে ক্যাম্পাসটিকে।
বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা এমন যে, গাছ, পাখি আর অন্য সকল প্রাণী একসাথ হয়ে ক্যাম্পাসটিকে নিজেদের করে নিয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর কৃত্রিম সৌন্দর্যের মধ্যেকার পার্থক্য বোঝার জন্য এখনই ভালো সময়। পাখিরা এমন সুযোগ পায় না বললেই চলে। আর হয়তো এই সুযোগেই নিজেদের করে নিয়েছে ক্যাম্পাসটি।