রাজধানী ঢাকায় জেঁকে বসেছে শীত।আর পৌষ মাসের চতুর্থ দিন ভর দুপুরেও শীতের তীব্রতা অনুভব করেছে রাজধানীবাসী। আবহাওয়া অফিস বলছে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, নীলফামারি, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৌসুমের প্রথম শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে গতকাল বুধবার থেকে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্র ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এটাই চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানা যাচ্ছে।
রাজধানী ঢাকায় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে বুধবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার আরও বাড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা আরও একটু হ্রাস পেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা থাকতে পারে প্রায় অপরিবর্তিত ।
পরীক্ষা অনুযায়ী তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা কম থাকলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়। থার্মোমিটারের পারদ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর পারদ ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরনিচে নেমে গেলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে বলে ধরা হয়।
পঞ্জিকা ধরেই এবার শীত নেমেছে বলে মনে হচ্ছে । অগ্রহায়ণের শেষ দিনে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে যায় ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সঙ্গে ছিল গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। পৌষের শুরুতেই যে শীত জেঁকে বসবে, সেই পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস।
গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর ২০১৯) দুপুরের পরে হঠাৎ করেই রাজধানীতে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। শুরু হয় যায় শীতল হাওয়া। আজ বৃহস্পতিবারও (১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ) সেই অবস্থা চলছে। ফলে কষ্টে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ জন।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন জানান, “আরও দুয়েকদিন রাতের তাপমাত্রা কমবে। উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। ২১ ডিসেম্বর শনিবার পর্যন্ত শীতের প্রকোপ অনুভূত হবে বেশি। এরপর দিন ও রাতের তাপমাত্রা খানিকটা বাড়বে।”