প্রলয়ঙ্করী টাইফুন হাগিবিসের তাণ্ডবে পুরো জাপান বিধ্বস্ত।শক্তিশালী ওই ঘূর্ণিঝড় নিগানো, নিগাতা, মিয়াগি, ফুকুসিমা, ইবারাকি, কানাগাওয়া এবং সাইতামাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এসব স্থানে উদ্ধার অভিযান চলছে।এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ১৭ জন। অপরদিকে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ১৬৬ জন। উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযানে এক লাখেরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছে।গত ৬০ বছরের ইতিহাসে এটিকে জাপানের সবচেয়ে ভয়াবহ ঝড় মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার কিছুক্ষণ পূর্বে রাজধানী টোকিওর দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজু দ্বীপে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আঘাত হানে ভূমিধস।
ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে মূল ভূখণ্ড থেকে সরে যাওয়ার আগে ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে কয়েক হাজার পুলিশ, দমকল বাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং সেনা সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের আগেই ৭০ লাখ মানুষকে নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে যে, মাত্র ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।শক্তিশালী এই ঝড়ের কারণে রাগবি ওয়ার্ল্ড কাপের তিনটি ম্যাচ বাতিল করা হয়।