শরীয়তপুরে ফসলি জমির নিকটেই গড়ে উঠেছে এম কে এম ব্রিক্স নামে একটি অবধৈ ইটভাটা। ইটভাটাটি পরিবেশ অধিদফতর থেকে ছাড়পত্র নিলেও লাইন্সেস নবায়ন করেনি তারা। এই ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ ধোঁয়াশাচ্ছন্ন হয়ে উঠেছে।স্থানীয়দের অভিযোগ, ইটভাটাটি একদিকে যেমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করছে অন্যদিকে বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় আশপাশের গাছপালা মরে যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষক ফারুক আহমেদ জানান, এই ইটভাটা হওয়ার পর থেকে আমাদের এলাকায় আগের মতো ফসল ফলে না। গাছেও ফল কম ধরে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, ইট ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইনানুযায়ী, কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা যাবে না এবং সেখানে ইটভাটা তৈরি নিষিদ্ধ।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, চরসোনামুখী এলাকায় ৫ একর ফসলি জমির ওপর তৈরি এম কে এম ব্রিক্স ফিল্ডের মালিক মো. মোস্তফা বেপারী নামের এক ব্যবসায়ী।তিনি বলেন, ‘আর সব ইটভাটা যেভাবে হয়েছে আমিও সেভাবে ইটভাটা তৈরি করছি। আমার ইটভাটার ধোঁয়ায় ফসলের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র এনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জমা দিয়েছি। খুব শিগগিরই লাইন্সেস নবায়ন করা হবে।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারতের নাজির মো: সেলিম বলেন, ‘ইতোমধ্যে ইটভাটা কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র জমা দিয়েছে। আমরা কাগজপত্র খতিয়ে দেখে লাইসেন্স দেয়ার ব্যবস্থা করব।’
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেকটর (সহকারী কমিশনার) মো. পারভেজ বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত নই। এলাকার লোকজন লিখিত অভিযোগ করলে আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।