খালের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু তা আমাদের সকলেরই জানা প্রায়। রাজধানীর খাল খনন করা হয় প্রয়োজনের তাগিদে। শহরে যদি খাল সচল না থাকে তাহলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। খালের প্রয়োজনীয়তা অনুভব হয় বর্ষার সময়। যখন মানুষ পানির কারণে ঘর থেকে বের হতে পারে না তখনই মাথায় আসে খালের চিন্তা। বর্তমানে রাজধানী ঢাকার ৩৯ খাল নিশ্চিহ্ন প্রায়। দখলবাজির কারণে এসকল খালগুলো আজ পরিণত হয়েছে নর্দমায়। যার মধ্যে ১১টি খাল নর্দমা আর ময়লা-আবর্জনার কারণে ভরে গেছে।
মাত্র ৩০ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে দেখা যাচ্ছে আগে যেসকল খালে নৌকা চলাচল করকো সেখানে আজ আর নৌকা নেই আছে বস্তি আর প্লট। পণ্যবাহী নৌকাগুলো যেখানে ভিড় করতো পণ্য নিয়ে সেখানে আজ উঠেছে বস্তি পরেই তৈরি হয়েছে প্লট। খালগুলো আজ পরিণত হয়েছে মাত্র কয়েকফুটের ড্রেনে।
জানা যাচ্ছে বিভিন্ন মহলের যোগসাজশেই নর্দমা ও ময়লা-আবর্জনায় পরিণত হয়েছে সেসকল খালগুলো। উচ্ছেদ অভিযান কিছুদিন সচল থাকলেও হঠাৎ করেই যেন প্রদীপের মতো রিভে যায়। কিন্তু কেন এমন হয় ? কারণ কি ? এরকম অনেক প্রশ্ন মানুষের মনে বাসা বাধে।
খাল দিয়ে রাজধানীর পানির প্রবাহ সচল থাকলে বর্ষার মৌসুমে পানির সমস্যা হতো থাকতো না। সরকারী উদ্যোগে বিভন্ন সময় দখলমুক্ত করার জন্য বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করা হলেও খুব বেশিদিন মুক্ত রাখতে পারেনি দখলকৃত খালগুলো।
ঢাকা শহরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য প্রতিবছর বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় কিন্তু মূলত যে স্থান দিয়ে পানি বের হবে সেই স্থান যদি ময়লায় ভর্তি থাকে তাহলে পানি বের হবে কিভাবে এটাই ভাবার বিষয়। শহরে বিভিন্ন স্থানে পানি বেঁধে থাকার ফলে পরিবেশ দূষিত হয়। জন্ম নেয় মরণঘাতি মশা।
ময়লা পানির প্রভাব পড়ে চলচলরত পথচারীদের উপরে। একটু বৃষ্টি হলেই দেখা যায় রাজধানীর অবস্থা কেমন। কোমর সমান পানির মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে দেয়া যায় যানবাহনগুলোকে। ময়লা এই পানির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগ ঢুকে পড়ে মানুষের শরীরে। কিন্তু তারপরও কতটা সচেতন আমরা।