রাজধানীতে আজ শুক্রবার কিছুক্ষণ পর পর ঝরছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।বৃষ্টির সঙ্গে যোগ হয়েছে হিমশীতল বাতাস। এর পরই ধেয়ে আসছে তীব্র শৈত্য প্রবাহ।এ সময় সারাদেশে অনুভূত হবে হাঁড় কাঁপানো শীত।আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়, রাজধানীতে শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টি গতে পারে এবং সারাদেশে রবিবার (৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত বৃষ্টির এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।যার মধ্যে দুটি শৈত্যপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করবে।ফলে গত মাসের চেয়ে এ মাসে শীতের তীব্রতা বাড়বে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, এ মাসে ২ থেকে ৩ টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলে শীতের তীব্রতা বাড়বে।এছাড়া রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টি হলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে শৈত্যপ্রবাহ ও সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, আগামী ৩, ৪ ও ৫ জানুয়ারি সারাদেশে বৃষ্টি শুরু হতে পারে এবং সেই সাথে তাপমাত্রাও কমতে থাকবে।
এরপর ৬ থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে সারাদেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। মাসের মাঝের সময়টাতে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে এবং মাসের শেষে আরও একটি তীব্র শৈত্রপ্রবাহ বয়ে যাওযার সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় দেশের বিভিন্ন জেলা তীব্র শীতের কবলে পড়বে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এর তীব্রতা বেশি থাকবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী’ এনামুর রহমান শীতবস্ত্র বিতরন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশর ৬৪ টি জেলায় হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভান্ডার থেকে চব্বিশ লাখ ঊনসত্তর হাজার একশটি কম্বল এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে সাত লাখ একুশ হাজার আটশটি কম্বল (মোট ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৯০০) টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবারই প্রথম শীতার্ত শিশুদের মধ্যে শীতবস্ত্র ও শিশুখাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. শাহ কামাল, অতিরিক্ত সচিব মো. আকরাম হোসেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মহসীন এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শামছুদ্দিন।