শীত যেতে বসেছে প্রায়। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর শীতের প্রকোপ ছিলো বেশ দেখার মতো। কয়েক দফায় শৈত্যপ্রবাহ চলমান থাকায় অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে মানুষের। শীতের কারণে ক্ষতি হয়েছে ফসলের একই সাথে বৃষ্টিও হয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। শীতকালীন সবজির ক্ষতির কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক কৃষক। সব মিলিয়ে শীত থেকে গেলো খুবই প্রভাব বিস্তার করে।
প্রতিবছর শীত আসে তার নিজেস্ব রূপ ও বৈচিত্র নিয়ে কিন্তু এবছর শীতের রূপ ও বৈচিত্র ছিলো অন্যান্য কয়েক বছরের তুলনায় একটু অন্যরকম।
শীতকালে বায়ু মান খারাপ থাকে এটা স্বাভাবিক কিন্তু এবছর শীতের পাশাপাশি বায়ুমান খুবই খারাপ অবস্থায় ছিলো। রাজধানী ঢাকা দফায় দফায় প্রথম স্থানে চলে আসে বায়ুদূষণে।শীতকালে বাসাতে ধূণিকণার পরিমান বৃদ্ধি পায় দেখা দেয় অনেক রোগও।সবকিছু মিলে এবারের শীতে একটু ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।
জলবায়ু পরিবর্তন ও বিভিন্ন কারণে শীত এবার জেকে বসেছিলো মানুষের মাঝে। রাস্তায় রাস্তায় গ্রামে গ্রামে দেখে গেছে মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেছে। মীতের কারণে মারাও গিয়েছে কিছু মানুষ।
ঘন কোয়াশার কারণে দিনের বেলাও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে যানবাহনগুলোকে। ফেরি পারাপারে দেখাগেছে ভিন্নতা, অনেক সময় পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় বন্ধ রাখতে হয়েছে ফেরি পারাপার।
সবকিছু মিলে এবারের শীত আসলেই ছিলো উপভোগ করার মতো। অনেকে শীত উপভোগ করেছে অন্যদিকে শীত অনেক পরিবারে নিয়ে এসেছে সমস্যাও।
যাইহোক আমরা এবছরের শীতের শেষপ্রান্তে দাড়িয়ে আছি। হয়তো আরো কিছুদিন শীত থাকবে। এরপই চলে আসবে বসন্তকাল। প্রকৃত পক্ষে বসন্তকাল বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি জনপ্রিয় সময়। গাছে নতুন মুকুল আর সবুজ শ্যামলে ঘেরা অবস্থায় দেখতে সবারই ভালো লাগে।