মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ি, লৌহজং ও শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। হঠাৎ করে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে এসব উপজেলায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় আড়াই হাজার পরিবারের ১৫ হাজার মানুষ।
লৌহজংয়ের গাওপাড়া, বেজগাঁও, গাঁওদিয়া, তেউটিয়া কনকসার, মেদেনি মন্ডল, শ্রীনগরের ভাগ্যকুলসহ কয়েকটি অঞ্চল এবং টংগিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাও,হাসাইল,কামারখাড়া ও দিঘিরপাড় ইউনিয়ানের নদী তীরবর্তী প্রায় ২২টি গ্রামের আড়াই হাজার পরিবারের ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে জীবনযাপন করছে। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটে পড়েছে এই সব অঞ্চলের পানি বন্দি মানুষেরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল ইসলাম বলেন, গত ৩ দিন ধরে মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পদ্মার পানির চাপ বেড়ে বিপৎসিমার উপর দিয়ে প্রবাহীত হচ্ছে। ফলে জেলার লৌহজং-শ্রীনগর ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, শনিবারের মতো শরোববারও পদ্মার মাওয়ায় বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার এবং ভাগ্যকুল পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো: মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, বন্যা কবলিত এলাকায় এই পর্যন্ত ৩৫ মেট্টিক টন চাউল এবং এক হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এসব খাবার অব্যহত থাকবে যতসময় এর কোন উন্নতি না হয় বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।