বানর মানার দায় স্বীকার করলেন এক নারী। তিনি স্বীকার করেছেন বানারগুলোগে খাবারের সাথে বিষ প্রয়োগ করে বানরগুলো মেরে ফেলেন। নারীর বিষ প্রয়োগে প্রথম দিন ১২টি পরের দিন আরো ৪টি বানর মারা যায়। সব মিলিয়ে বানর মারা যায় ১৬টি।
মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকায় মেরে ফেলা হয় ১৬টি বানর। আর যে সেই বানরগুলোকে বিষ প্রয়োগ করে তার নাম শাহানা বেগম। তিন উপজেলার হাওলাদারের স্ত্রী ।
পুলিশসূত্রে জানা যায়, সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে দায় স্বীকার করে নেয় শাহানা বেগম। এক সাথে আটক করা হয়েছিলো শাহানা বেগমের দেবরকেও কিন্তু দেবর দোষী না হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। শাহানা বেগমকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার (১০ মে ২০২০) বিকালে দোষী শাহানা বেগমকে জেলহােজতে পাঠিয়ে পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে মাদারীপুর সদর উপজেলার মধ্য খাগদী এলাকা থেকে আটক করা হয়েছিলো।
বানর মারার ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়ও মাদারীপুর জেলা প্রশাসক চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
শাহানা বেগমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বানরগুলোকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়। কিন্তু ঠিক কোন ধরনের বিষয় প্রয়োগ করে বানরগুলোকে হত্যা করা এবিষয়ে এখনো জানা যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে কোন ধরনের বিষয় প্রয়োগ করা হয়েছিলো।
উল্লেখ্য, গত ৬ মে বিকালে ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি বানরের মুখ থেকে বিষাক্ত লালা পড়তে দেখা যায়। তখন কয়েকটি বানরকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
কয়েকটিকে দেখা যায় বিষের প্রভাবে কাতরাচ্ছিল। বিষের কারণে ৬ মে সন্ধ্যার দিকে ১২টি এবং ৭ মে সকালে আরও ৪টি বানর মারা যায়। পরে স্থানীয়রা বানরগুলোকে সংগ্রহ করে মাটিচাপা দিয়ে দেয় ।