30 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
ভোর ৫:২৬ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী চাষিরা
কৃষি পরিবেশ

মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী চাষিরা

মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং উৎপাদন খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন ভোলার কৃষকেরা। ফলে প্রচলিত ফসলের তুলনায় দিন দিন বাড়ছে ক্যাপসিকামের আবাদ।

ভোলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গত বছরের তুলনায় এই বছর দ্বিগুণ ক্যাপসিকামের চাষ হয়েছে। এ সবজি চাষ করে ভাগ্য বদলেছেন এখানকার অনেক চাষি। সরকারি সহযোগিতা পেলে ক্যাপসিকাম চাষে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে মনে করছেন অনেকেই।

কৃষকরা জানান, ভোলা সদরের মাঝের চরে প্রায় ৬ থেকে ৭ বছর আগে কাচিয়া ইউনিয়নের মনির পাঠান নামের এক ব্যক্তি ১০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেন। তাতে ব্যাপক সফলতা পান তিনি। পরের বছরই তিনি বড় পরিসরে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেন। তার দেখাদেখি অন্য চাষিরাও সবজিটি চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ভোলার মাঝের চরে বর্তমানে ১৫০ থেকে ২০০ জন চাষি ক্যাপসিকাম চাষ করছেন। এ বছরও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ব্যাপক ফলন হয়েছে। আর পাইকারি বাজারেও ভালো দাম পাচ্ছেন বলে তারা জানিয়েছেন।

ভোলা সদরের কাচিয়া মাঝের চরের ক্যাপসিকাম চাষি হাসেম কেরানী জানান, বিদেশি সবজি চাষ করে অনেক লাভ হয় শুনে তিনি এ বছর ৩ একর জমিতে চাষ করেছেন। শ্রমিকের মজুরি, বীজ, সার, ওষুধ ও জমির লগ্নিসহ সব মিলিয়ে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তিনি এরইমধ্যে ৭ লাখ টাকার সবজি বিক্রি করেছেন। আরও ৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

চাষি মো. আবদুর রহমান জানান, তিনি প্রায় ২ একর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। এতে তার প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন। খেতে যে ফসল আছে তাতে আরও ৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন।

চাষি মো. সিদ্দিক জানান, আগে ভোলার এ চরে ২৫ থেকে ৩০ জন ক্যাপসিকামের চাষ করতেন। এখন ১৫০ থেকে ২০০ জন রয়েছেন। দিন দিন চাষির সংখ্যা বাড়ছে।

কৃষক হাসেম ব্যাপারী জানান, পাইকারি বাজারে এর চাহিদা অনেক। প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এটি রফতানি হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, এ বছর জেলায় ক্যাপসিকাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হেক্টর। আবাদ হয়েছে প্রায় ৪০ হেক্টর। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ১৫ হেক্টর ও দৌলতখান উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ হয়েছে।

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, “এ বছর খেতে কোনো প্রকার পোকার আক্রমণ নেই। তাই চাষিরা আগের চেয়ে অনেক লাভবান হবেন। ক্যাপসিকাম চাষ করে অনেকেই তাদের ভাগ্য বদল করেছেন। আমার ধারণা আগামী মৌসুমে জেলায় ক্যাপসিকাম চাষ একশত হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে।”

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত