গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ চাষে ভাগ্য ফিরছে অনেকের। বাংলাদেশের কিছু কিছু এলাকায় চাষ করা হচ্ছে এই তরমুজ। তরমুজটি দেখতে হলুদ রঙের হয়ে থাকে। এরই মধ্যে অনেকেই দেখে থাকবেন হয়তো। অনেকে এটিকে রক মেলন বলে ডাকেন। তবে নাম যাই হোক না কেন খরতাপে রসালো স্বাদ মেটাতে এটির কোন জুড়ি নেই।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো এই তরমুজ চাষ হচ্ছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলাতেও। মহাদেবপুর উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে এই তরমুজ চাষ করেছেন চাষি আব্দুল খালেক।
নতুন জাতের এই তরমুজ চাষ করে তিনি অনেক সাফল্য পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। চাষি আব্দুল খালেক নিজের উদ্যোগেই চাষ করেছেন এই হলুদ রঙের তরমুজ।
আব্দুল খালেকের ভাষ্য অনুযায়ী তিনি ২০১৯ সালে মাত্র ১০ কাঠা জমিতে গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ শুরু চাষ শুরু করেন। আর সেখান থেকে তিনি তরমুজ বিক্রি করেন প্রায় ২ লক্ষ টাকার।
প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হয়েছিলো ১ শত টাকা কেজি দরে। কৃষক আব্দুল খালেক দিনাজপুর জেলার এক কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিলো নতুন জাতের এই তরমুজের বীজ।
নতুন জাতের এই তরমুজ মাত্র দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে বিক্রির উপযুক্ত হয়ে যায়। স্বল্প মেয়াদি এই তরমুজ চাষ করা সারা বছরই। ফলে একই জমিতে বছরে চাষ করা যায় কয়েক বার।
তরমুজের বাইরের রঙ হলুদ হলেও ভেতরের রঙ লাল। স্বাদের অন্যান্য জাতের তরমুজের মতোই লাগে। গাছ লাগানোর ৪০ থেকে ৫০ দিনের মেধ্যে ফল আসে গাছে। তবে এই তরমুজ যদি মাচায় চাষ করা যায় তাহলে এখান থেকে বেশি ফলন পাওয়া যায়।
কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী নতুন জাতের হলুদ রঙের এই তরমুজ বেশি চাষ করা হয় আফ্রিকাতে। সম্প্রতি দেশের দিনাজপুর, নওগাঁ, রাজশাহীসহ বেশ কিছু জেলায় অল্প পরিসরে চাষ শুরু হয়েছে বলেও জানায় কৃষি বিভাগ।
অন্যান্য তরমুজের চেয়ে বাজারে এই তরমুজের চাহিদা বেশি থাকায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন চাষিরা। এছাড়াও এই তরমুজ থেকে লাভ বেশি হওয়ায় চাহিদা বাড়া অন্যতম কারণ। সূত্র: যমুনা টিভি