দিন দিন পৃখিবীর যেমন বয়স বাড়ছে তেমনি বাড়ছে তার উষ্ণতা। এর ফলে খুব দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে জলবায়ুর।কখনো পৃথিবীর কোন দেশে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডব, কখনো তীব্র ভূমিকম্প, কখনো ভারী বৃষ্টিপাত আবার কখনো ভয়ঙ্কর দাবানলের থাবা- জলবায়ুর পরিবর্তনে প্রকৃতির এমন পরিস্থিতি শুধুমাত্র বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্যই হয়েছে।
যদিও বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ, সংগঠন-সংস্থাসমূহ।তবুও যদি ব্যক্তিপর্যায় থেকে বৈশ্বিক উষ্ণতা ঠেকানো যায় তবে উষ্ণতা অনেকাংশেই কমে আসবে।
তাই এক্ষেত্রে আপনিও বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন।নিম্নে এধরনের কয়েকটি উদ্যোগের কথঅ তুলে ধরা হল-
বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য অন্যতম দায়ী হিসেবে বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেনস জীবাশ্ম জ্বালানিকে। এটি ব্যাপকহারে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি করে থাকে।তাই আপনি চাইলে আজ থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ করতে পারেন।
গাড়ির কালো ধোঁয়া পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি করে থাকে। তাই আপনি ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার না করে বা গণপরিবহন ব্যবহার না করে কার্বন নির্গমন কমিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে পারেন। পরিবর্তে হাঁটা বা সাইক্লিং করতে পারেন যা আপনাকে ফিট রাখতে সাহায্য করবে।
ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধুয়েয সেটি শুকানোর জন্য মেশিনের টাম্বেল ড্রায়ারে না করে, বাইরের রোদের মধ্যে দড়িতে মেলে দিলে কাপড় দ্রুত শুকাবেও সাথে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। বিদ্যুতের জন্য অতিরিক্ত জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ানো এড়ানো যাবে।
মুরগি মাংস, ফল, শাকসবজি বা শস্যের চেয়ে লাল মাংসের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন ঘটায়। তাই খাদ্যাভ্যাসে মাংসের পরিবর্তে সবজি এবং ফলের ওপর নির্ভরতা বাড়াতে পারেন।
দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া কমিয়েও আপনি পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারেন। কেননা এসব খাদ্যের উৎপাদন ও পরিবহণে প্রচুর পরিমাণে গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন হয়।
এছাড়া প্রচুর পরিমানে গাছ লাগাতে পারেন। এভাবেই আপনি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
প্রকৃতপক্ষে বৈশ্বিক উষ্ণতা ঠেকাতে আমরা যদি নিজে থেকে গ্রহণ না করি শুধু সরকার ও সংস্থাসমূহের দিকে তাকিয়ে থাকি তাহলে এর সমাধান খুব একটা হবে না। তাই ব্যক্তিপর্যায় থেকে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।