29 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
রাত ২:৫৫ | ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
হিসাব আছে বৃক্ষ রোপণের, কিন্তু নেই হিসাব নিধনের
পরিবেশ রক্ষা বাংলাদেশ পরিবেশ

বৃক্ষ রোপণের হিসাব আছে কিন্তু নেই নিধনের হিসাব

হিসাব আছে বৃক্ষ রোপণের, কিন্তু নেই হিসাব নিধনের

প্রতি বছর সরকারিভাবে বৃক্ষ রোপণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও বছরে কতোটা পরিমাণ গাছ কাটা হচ্ছে তার কোনও হিসাব কারো কাছেই নেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গাছ লাগাতে অথবা কাটতে কারও কোন অনুমতির প্রয়োজন হয় না।

এই কারণে এর হিসাব রাখারও কেউ নেই। পরিবেশ রক্ষায় সরকার মাটির উপরিভাগ কেটে যত্রতত্র পুকুর খনন বন্ধ করেছে। পুকুর খনন করতে গেলে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।



আবার জলাশয় ভরাট করতে গেলেও একইভাবে প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। যদি গাছ কাটার ক্ষেত্রেও এমন কোন বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করা যেতো তাহলে নিধনের হাত থেকে জীবন বেঁচে যেত অনেক বৃক্ষের। যাতে পরিবেশের আরো টেকসই উন্নতি হতো।

সরকার প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরু করেন। সেইসাথে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রায় ১ কোটি গাছ রোপণের কর্মসূচি পালন করেছেন। এই গাছ রোপণের পাশাপাশি যাতে গাছ নিধনও বন্ধ করা হয় সেই বিষয়ে জোর দিয়েছেন পরিবেশবাদীরা। গাছ নিধনে তারা চান কঠোর আইনের প্রয়োগ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে একটি করে ওয়ার্ড রয়েছে। এসব ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন।

সরকার চাইলে খুব সহজেই এদের কাজে লাগিয়ে প্রতিটি গ্রামের গাছের একটি হিসাব বের করতে পারে। সেইসাথে এসব গাছের বয়সও বের করা যায়। এরপর এগুলোর বিষয়ে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা যেতে পারে। স্থানীয় মসজিদের ইমাম এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে এই কাজ করানো যেতে পারে।

তারা বলছেন, সারাদেশের বৃক্ষের একটি চিত্রের সঙ্গে কোন এলাকায় কতটুকু পরিমান সরকারি জমি রয়েছে এবং সেখানে কী পরিমাণ গাছ লাগানো যেতে পারে তা হিসাব করা। তাহলেই পরিবেশের টেকসই উন্নতি সম্ভব হবে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, গাছ রোপণ খুবই ভাল উদ্যোগ। তবে গাছ রোপণের পাশাপাশি অনেক পুরানো গাছগুলো বাঁচানোও একান্ত জরুরি।

পরিবেশ ও প্রতিবেশ বাঁচাতে নতুন গাছের জন্ম দেয়া যেমন জরুরি তেমনি পুরানো গাছও ইকো সিস্টেমের একটি অংশ। তাই সেগুলো বাঁচাতে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, শুধু গাছ রোপণ করলেই হবে না বরং সেগুলো যেন পরিবেশ উপযোগী গাছ হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফল ফুল দেয়, পাখিরা বসে। তাহলে ইকোসিস্টমের ওপর এর প্রভাব পড়বে।



বিশ্বব্যাপী পরিবেশ দূষণ রোধ ও পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসাবে পালন করছে সারাবিশ্বের মানুষ।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এই দিবসটি পালন করছে। এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন বা ‘প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার, হোক সবার অঙ্গীকার’।

এ বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানসহ সকল জাগতিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত গাছপালা, পশুপাখি অতি আহরণের ফলে জীববৈচিত্র্য এবং প্রতিবেশের ভারসাম্য প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে।

বর্তমানের উৎপাদন পদ্ধতি এবং ভোগবাদী জীবনযাপন এভাবে অব্যাহত থাকলে ধরিত্রীর প্রতিবেশ ব্যবস্থা অচিরেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। আমাদের সকলকেই তাই প্রতিবেশ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে এখনই এগিয়ে আসতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষে দেশজুড়ে বৃক্ষরোপণসহ বিভিন্নমুখী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। একই ধারাবাহিকতায় সরকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পূর্বক বাসযোগ্য টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করছে।

তিনি আরো জানান, জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসাবে দেশব্যাপী বিনামূল্যে ১ কোটি বৃক্ষের চারা রোপণের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে যা পরিবেশ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত